আগামি ২৫ আগস্ট বাংলাদেশের পাশাপাশি কানাডা ও আমেরিকায় একযোগে মুক্তি পাচ্ছে ঢালিউডের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমা ‘এম আর – ৯’। কথাসাহিত্যিক কাজী আনোয়ার হোসেনের স্পাই থ্রিলার ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের ‘ধ্বংস পাহাড়’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল এই সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হলিউড নির্মাতা আসিফ আকবর। স্বপ্ন স্কেয়ারক্রোরের পরিবেশনায় ‘এম আর – ৯: ডু অর ডাই’ কানাডা ও আমেরিকার ১৫০টি পর্দায় মুক্তি পেতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
আগামী সপ্তাহে মুক্তিকে কেন্দ্র করে সিনেমাটি প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন এর প্রধান তারকারা। সাথে আছেন বাংলাদেশের আলোচিত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্নধার আব্দুল আজিজ। কিছুদিন আগে প্রকাশিত সিনেমাটির ট্রেলারে হলিউড ও বলিউডের একঝাঁক তারকার উপস্থিতির কারনে এর প্রতি দর্শকদের আগ্রহ বেড়েছে কয়েকগুণ। ২ মিনিট ২৯ সেকেন্ডের ট্রেলারটিতে ছিলো দুর্দান্ত সব অ্যাকশনের প্রদর্শনী। প্রকাশিত ট্রেলারে গোয়েন্দা মাসুদ রানার চরিত্রে বাংলাদেশি অভিনেতা এবিএম সুমন সবার নজর কেড়েছেন।
২৫শে আগস্ট বিশ্বব্যাপী মুক্তি পেতে যাচ্ছে ঢালিউডের ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমা ‘এম আর – ৯: ডু অর ডাই’। মাসুদ রানা সিরিজের ‘ধ্বংস পাহাড়’ অবলম্বনে সিনেমাটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবিএম সুমন।#ফিল্মীমাইক #ঢালিউড #Filmymike #Dhallywood #BanglaCinema #MR9 #ABMSumon pic.twitter.com/c41gf1m25I
— Filmymike – সিনেমার প্রচার মাইক (@FilmyMikeBD) August 18, 2023
মাসুদ রানার গল্পে ‘এমআর-৯: ডু অর ডাই’ সিনেমাটি প্রসঙ্গে একটি সংবাদ মাধ্যমের সাথে আলাপকালে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নির্মাতা আসিফ আকবর বলেন, ‘এটি আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং প্রজেক্ট এবং এখান থেকে আমি সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। আমিসহ অনেকের শৈশবের নায়ককে বড়পর্দায় নিয়ে আসার এই প্রজেক্টে যুক্ত হতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ এবং গর্বিত। এই সিনেমাটি আপনাদের (দর্শক) জন্য এবং এটি এখন একটি জাতির জন্য ইতিহাস।’ বিভিন্ন দেশের অভিনেতাদের উপস্থিতির পাশাপাশি দারুণ সব অ্যাকশনের জন্য প্রশংসা কুরাচ্ছে ট্রেলারটি।
সিনেমাটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে ঢালিউডের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমা ‘এম আর – ৯’। ৮৩ কোটি টাকা বাজেটে নির্মিত এই সিনেমাটি থেকে ৭০০ কোটি রুপি আয়ের লক্ষ্যের কথা জানিয়েছে আব্দুল আজিজ। সিনেমাটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এমআর নাইন ৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে। এই হিসেবে এটি দেশের সবচেয়ে বড়ো বাজেটের সিনেমা। বাংলার পাশাপাশি ইংরেজিতেও ডাবিং করা হয়েছে সিনেমাটি। বাংলাদেশ ছাড়াও ছবিটির চিত্রায়ণ হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ আফ্রিকায়।‘ বিশ্বব্যাপী ৭০০ কোটি টার্গেট হলেও, বাংলাদেশ থেকে ৫ কোটি আয় করলেই খুশী বলে জানিয়েছেন তিনি।
পরিচালক আসিফের সাথে যৌথভাবে সিনেমাটির চিত্রনাট্য লিখেছেন আব্দুল আজিজ ও নাজিম উদ দৌলা। আর এর সংগীত পরিচালনা করেছেন গ্র্যামিজয়ী ভারতীয় সংগীতশিল্পী রিকি কেজ। ট্রেলারের আগে সদ্য প্রকাশিত সিনেমাটির ফার্স্টলুক পোষ্টার বেশ প্রশংসিত হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ফার্স্টলুক পোষ্টারে ঘাড় ঘুরিয়ে তীক্ষ্ণ চাহনি দিয়ে দর্শকের নজর কেড়েছিলেন এবিএম সুমন। বাংলাদেশের জাজ মাল্টিমিডিয়ার সঙ্গে সিনেমাটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ফিল্ম পোস্ট, চেজিং বাটারফ্লাইস পিকচারস ও আল ব্রাভো ফিল্মস।
উল্লেখ্য যে, এবিএম সুমন ছাড়াও সিনেমাটিতে আরো অভিনয় করেছেন ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা’ খ্যাত হলিউড অভিনেতা ফ্র্যাংক গ্রিলো, ‘দ্য ডার্ক নাইট’-এর মাইকেল জাই হোয়াইট, ‘আর্মি অব ওয়ান’ অভিনেতা নিকো ফস্টার। সিনেমাটিতে এবিএম সুমনের বিপরীতে অভিনয় করেছেন বলিউডের ‘পয়জন’ অভিনেত্রী সাক্ষী প্রধান এবং ‘থ্রি ইডিয়টস’ খ্যাত ওমি বৈদ্য। এছাড়া বাংলাদেশি অন্য অভিনেতাদের মধ্যে আছেন শহীদুল আলম সাচ্চু, আনিসুর রহমান মিলন, জেসিয়া ইসলাম ও টাইগার রবি।
আরো পড়ুনঃ
আসছে ‘এমআর নাইন’: ৭০০ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্য নির্মাতারাদের!
মাসুদ রানার গল্পে ‘এমআর-৯’ সিনেমার ট্রেলার জুড়ে অ্যাকশনের ধামাকা
মুক্তি পাচ্ছে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমা ‘এমআর-৯’
