বিশেষ প্রদর্শনীতে প্রশংসায় ভাসছে ‘অ্যাভাটারঃ দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার’

অ্যাভাটারঃ দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার

আগামী ১৬ই ডিসেম্বর মুক্তি পেতে যাচ্ছে চলতি বছরের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘অ্যাভাটারঃ দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার’। প্রথম পর্বের ঐতিহাসিক সাফল্যের পর এই ফ্র্যাঞ্চাইজির দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে দর্শকদের প্রত্যাশ আকাশচুম্বী। করোনা মহামারীর কারনে বেশ কয়েকবার স্থগিত ছিলো সিনেমাটির নির্মান কাজ। ভারী মাত্রার ভিএফএক্স এবং নির্মানে দীর্ঘ সময়ক্ষেপণের কারনে সিনেমাটির বাজেট দাঁড়িয়েছে আকাশচুম্বী। সম্প্রতি জানা গেছে বিশেষ প্রদর্শনীতে প্রশংসায় ভাসছে ‘অ্যাভাটারঃ দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার’ সিনেমাটি।

সম্প্রতি লন্ডনে হয়ে গেলো ‘অ্যাভাটারঃ দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার’ সিনেমার ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার। বিশেষ প্রদর্শনীতে উপস্থিত দর্শকদ এবং সমালোচকদের প্রশংসায় ভাসছে ‘অ্যাভাটারঃ দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার’ সিনেমাটি। অনেকেই সিনেমাটিকে এক বাক্যে চিত্তাকর্ষক এবং যুগান্তকারী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। প্রদর্শনীর পর প্রাথমিক পর্যালোচনায় দারুণ ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছে সিনেমাটি। তবে কেউ কেউ সিনেমাটির লম্বা দৈর্ঘ্যের ব্যাপারে অসন্তুষ্টিও প্রকাশ করেছেন। তবে বেশীরভাগ প্রতিক্রিয়াই ছিলো আশাব্যঞ্জক।

বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় এবং সফল নির্মাতা জেমস ক্যামেরনের আগের সিনেমাগুলো মত ‘অ্যাভাটারঃ দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার’ সিনেমার ভিজ্যুয়াল ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। জটিল গল্প, শক্তিশালী চরিত্রের বিকাশ এবং একটি নতুন পৃথিবী নির্মান সিনেমাটিকে সমালোচনামূলক সাফল্যের যোগ্য করে তুলেছে। এছাড়া সিনেমাটিতে থ্রীডি’র ব্যবহারের প্রশংসা করেছেন সবাই। সম্পূর্ণরূপে শৈল্পিক অভিপ্রায়ের সাথে একটি প্রযুক্তিগত উপহার হিসেবে সিনেমাটিকে স্বীকৃতি পাচ্ছে ‘অ্যাভাটারঃ দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার’ সিনেমাটি।

বিশেষ প্রদর্শনীতে প্রশংসা কুঁড়াতে সক্ষম হওয়াটা ‘অ্যাভাটারঃ দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার’ সিনেমার বক্স অফিস সাফল্যের জন্য খুবই জরুরী ছিলো। হলিউডের সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে ‘অ্যাভাটারঃ দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার’ সিনেমাটি হলিউডের ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যায়বহুল সিনেমা হতে যাচ্ছে। সিনেমাটির শুধুমাত্র নির্মানেই খরচ হয়েছে ৩৫০ থেকে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই বিশাল বাজেটের সিনেমার বাণিজ্যিক সাফল্য অর্জনের জন্য দর্শক এবং সমালোচকদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা খুবই গুরুত্বপূর্ন।

হলিউডের প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম ভেরাইটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বহুল প্রতীক্ষিত এই সিনেমাটি বিনিয়োগ তুলতে বক্স অফিসে নতুন রেকর্ড করতে হবে। উক্ত সংবাদ মাধ্যমের সাথে আলাপকালে কিছুদিন আগে এমনটাই জানিয়েছিলেন সিনেমাটির নির্মাতা জেমস ক্যামেরন। প্রযোজকদের বিনিয়োগ ফেরত নিশ্চিত করতে সিনেমাটিকে ইতিহাসের তৃতীয় অথবা চতুর্থ সর্বোচ্চ আয়ের সিনেমা হিসেবে আবির্ভুত হতে হবে ‘অ্যাভাটারঃ দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার’। নূন্যতম ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় ছাড়া সিনেমাটি বক্স অফিসে ফ্লপ হিসেবে বিবেচিত হবে।

উল্লেখ্য যে, পুরষ্কার জয়ী ‘অ্যাভাটার’ ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রথম সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিলো ২০০৯ সালে। প্রথম পর্বের পর এই ফ্র্যাঞ্চাইজির দ্বিতীয় পর্বের জন্য দর্শকদের অপেক্ষা করতে হয়েছে ১৩ বছর। আর এই সময়ে সবকিছু বদলে গেছে ব্যাপকভাবে। যদিও আরো তিনটি সিক্যুয়েল জুড়ে বলার মতো একটি গল্প রয়েছে, যদি ফ্র্যাঞ্চাইজির নতুন সিনেমাটি দর্শকদের মাঝে আগ্রহের জন্ম না দেয় তবে সেখানে ছাঁটাই করা যেতে পারে। সে বিবেচনায় ‘অ্যাভাটার ৩’ হতে পারে ফ্র্যাঞ্চাইজির শেষ সিনেমা!

প্রসঙ্গত, পরিচালনার পাশাপাশি জোশ ফ্রিডম্যানের সাথে যৌথভাবে সিনেমাটির চিত্রনাট্য রচনা করেছেন জেমস ক্যামেরন। আর ‘অ্যাভাটারঃ দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার’ সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন জো সালডানা, স্যাম ওয়ার্থিংটন, সিগর্নি ওয়েভার, স্টিফেন ল্যাং, ক্লিফ কার্টিস, জোয়েল ডেভিড মুর, সিসিএইচ পাউন্ডার, এডি ফ্যালকো, জেমাইন ক্লেমেন্ট এবং কেট উইন্সলেট। আগামী ১৬ই ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী মুক্তি পেতে যাচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত এই সিনেমাটি।

আরো পড়ুনঃ
বিশাল বাজেটের কারনে বাণিজ্যিক সাফল্যের চাপে ‘দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার’
‘দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার’ ব্যর্থ হলে ‘অ্যাভাটার ৩’ হতে পারে শেষ সিনেমা!
‘অ্যাভাটার ২’ ট্রেলার: প্যান্ডোরার মহাসাগরে মহাকাব্যিক যুদ্ধের এক ঝলক

By নিউজ ডেস্ক

এ সম্পর্কিত

%d