২০০৯ সালে মুক্তি পেয়েছিলো বিশ্বখ্যাত নির্মাতা জেমস ক্যামেরনের ‘অ্যাভাটার’ সিনেমাটি। সেই সময়ই এই পরিচালক ঘোষনা দিয়েছিলেন সিক্যুয়েল নির্মানের। সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে জানা গেছে জেমস ক্যামেরনের ‘অ্যাভাটার ২’ সিনেমাটির বিস্তারিত। লাস ভেগাসে চলমান CinemaCon কনভেনশনে টুয়েন্টিথ সেঞ্চুরি স্টুডিওস-এর মূল কোম্পানি ডিজনির উপস্থাপনার সময় সিনেমাটির বিস্তারিত জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে হলিউড ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ডেডলাইন।
জেমস ক্যামেরন এবং প্রযোজক জন ল্যান্ডউ সিনেমাটির প্রাথমিক ফুটেজ প্রদর্শনের জন্য উপস্থাপনার সময় নিউজিল্যান্ড থেকে অনলাইনে হাজির হয়েছিলেন। জেমস ক্যামেরনের বিজ্ঞান কল্পকাহিনী ভিত্তিক ‘অ্যাভাটার’ ফ্র্যাঞ্চাইজিটির দ্বিতীয় পর্বের নাম ‘‘অ্যাভাটারঃ দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার’। উক্ত উপস্থাপনায় ঘোষনা অনুযায়ী আগামী ২৪ই ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে বহুল আলোচিত এই সিনেমাটি। গুঞ্জন অনুযায়ী মোট ১৬০টি ভাষায় মুক্তি পাবে জেমস ক্যামেরনের ‘অ্যাভাটার ২’ সিনেমাটি।
আগের পর্বের মত স্যাম ওয়ার্থিংটন এবং জো সালদানা যথাক্রমে জ্যাক সুলি এবং নাভি নেইতিরির চরিত্রে ফিরে আসছেন। সিনেমাটির গল্পটি দুই প্রধান চরিত্র, তাদের পরিবার এবং একে অপরকে সুরক্ষিত রাখতে তারা কতটা সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে এগিয়ে যাবে। টিজার ট্রেলারের ফুটেজটিতে জ্যাক এবং নেইতিরির পাশাপাশি এলিয়েন ওয়ার্ল্ড প্যান্ডোরার উজ্জ্বল নীল জলের চমত্কার কিছু দৃশ্য দেখা গেছে। প্রথম পর্বে দেখানো কিংবদন্তি উড়ন্ত প্রাণী তোরুকের এবং নতুন তিমির মতো প্রাণীর দেখা পাওয়া গেছে।
সিনেমাটি প্রসঙ্গে ল্যান্ডউ বলেন, ‘ক্যামেরনের চিত্রনাট্যগুলোর একটি শক্তি হল সেগুলি সর্বদা সর্বজনীন এবং সম্পর্কিত বিষয়বস্তুকে একসাথে বাঁধে। চারটি সিক্যুয়েলের প্রতিটির কেন্দ্রে থাকবে সুলি পরিবার। প্রতিটি গল্পই হবে এককভাবে এবং প্রতিটি তার নিজস্ব উপসংহারে আসবে। প্রতিটি ছবির জন্য একটি পরিপূর্ণ রেজোলিউশন থাকবে, কিন্তু সামগ্রিকভাবে দেখলে চারটি জুড়ে যাত্রা একটি বৃহত্তর মহাকাব্যিক কাহিনী তৈরি করবে।‘
করোনভাইরাস মহামারীজনিত কারণে গত দুই বছরে সিনেমা শিল্প যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে তা মোকাবেলায় প্রদর্শকরা যে স্থিতিশীলতা তার প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন ক্যামেরন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলে, ‘আমি শুধু চাই যে আপনি আমার কাছ থেকে এটি শুনুন, জন এবং আমি এখানে আপনার সাথে কাজ করতে এসেছি। সেরা উপায় হল এমন বিষয়বস্তু সরবরাহ করা যা দর্শকদের সিনেমায় দেখার অভিজ্ঞতাকে অবশ্যই অনন্য করে তুলবে।‘
‘অ্যাভাটার ২’ সিনেমা প্রসঙ্গে অস্কার বিজয়ী এই চলচ্চিত্র নির্মাতা বলেন, ‘চলচ্চিত্রটির চূড়ান্ত ছোঁয়া দেওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছেন। আমি চেয়েছিলাম প্যান্ডোরাতে আমাদের প্রত্যাবর্তন সত্যিই বিশেষ কিছু হোক। প্রতিটি শট সবচেয়ে বড় স্ক্রীন, সর্বোচ্চ রেজোলিউশন এবং সবচেয়ে নিমজ্জিত থ্রিডি উপলব্ধের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। আমার মনে হয় আমরা এটি করতে পেরেছি।‘
২০০৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত, ক্যামেরনের ‘অ্যাভাটার’ সিনেমাটি ২.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি আয়ের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে সর্বকালের শীর্ষ আয়ের সিনেমা হিসেবে নাম লিখিয়েছে। ‘ অ্যাভাটারঃ দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার’ সিনেমাটি ডক্টর গ্রেস অগাস্টিন এবং স্টিফেন ল্যাং কর্নেল মাইলস কোয়ারিচের ভূমিকায় সিগর্নি ওয়েভারের প্রত্যাবর্তনকে চিহ্নিত করবে। এছাড়া সিনেমাটিতে আরো যুক্ত হয়েছেন ভিন ডিজেল এবং কেট উইন্সলেট, যে ক্যামেরনের ১৯৯৭ সালের হিট ‘টাইটানিক’-এ অভিনয় করেছিলেন।
আরো পড়ুনঃ
সবচেয়ে লম্বা সময় ধরে চলা বিশ্বের আলোচিত ১৫টি সিনেমা ফ্র্যাঞ্চাইজি
যুক্তরাষ্ট্র বক্স অফিসে ‘অ্যাভাটার’ সিনেমাকে ছাড়িয়ে গেলো ‘স্পাইডার-ম্যান’
‘অ্যাভাটার: দ্বিতীয় পর্ব মুক্তির আগেই শেষ হয়ে গেলো ‘থ্রি’র কাজ!