মুক্তির আগেই ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘হাওয়া’। ২৯ জুলাই দেশের ২৪ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে আলোচিত এই সিনেমাটি। এর মধ্যে দেশের সবচেয়ে অত্যাধুনিক স্টার সিনেপ্লেক্সে রেকর্ড প্রদর্শনী পাচ্ছে আলোচিত ‘হাওয়া’ সিনেমাটি। এই মাল্টিপ্লেক্স চেইনের সবকয়টি শাখা মিলিয়ে সিনেমাটির ২৬টি প্রদর্শনী পাচ্ছে ‘হাওয়া’। এত বেশী সংখ্যক প্রদর্শনী সাম্প্রতিক সময়ের বাংলা সিনেমার ক্ষেত্রে রেকর্ড বলে জানিয়েছে স্টার কর্তৃপক্ষ।
স্টার সিনেপ্লেক্সের বিপণন কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন সূত্রে জানা গেছে মুক্তির প্রথম দিনেই আর কোনো সিনেমা সিনেপ্লেক্সে এতোগুলো প্রদর্শনী পায়নি। এ প্রসঙ্গে একটি অনলাইন পত্রিকার সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘অতীতে মুক্তির প্রথম দিন থেকে কোনো বাংলা ছবির এতগুলো শো ছিল বলে মনে পড়ছে না। হাওয়া-ই প্রথম দিন থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক শো পাচ্ছে। মুক্তির আগে দর্শকদের যে চাপ অনুভব করছি এতে করে শো আরো বাড়ানো হতে পারে।‘
জানা গেছে, মঙ্গলবার থেকেই অনলাইনে ‘হাওয়া’ সিনেমার অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু করেছে স্টার সিনেপ্লেক্স। অন্যদিকে, রাজধানীর ব্লকবাস্টার সিনেমাসে ‘হাওয়া’ সিনেমার দৈনিক প্রদর্শনী ১৩টি। দেশের বড় এই দুই মাল্টিপ্লেক্স ছাড়াও দেশের ২৪টির মতো প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে এ সিনেমাটি। ইতিমধ্যে পোস্টার ও ট্রেইলারে মুগ্ধতা ছড়িয়েছে ‘হাওয়া’ সিনেমা। এছাড়া সিনেমাটির গান ও প্রচারণার কৌশলে নতুন উন্মাদনা সৃষ্টি করেছে সিনেমাটি।
মুক্তির আগে বহুল আলোচিত ‘হাওয়া’ সিনেমাটির প্রেক্ষাগৃহের তালিকা প্রকাশ করেছে সিনেমাটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। মাল্টিপ্লেক্স চেইন ছাড়াও দেশের ২৪টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি।#ফিল্মীমাইক #ঢালিউড #হাওয়া #বাংলা_সিনেমা #Filmymike #Dhallywood #BanglaCinema #Hawa pic.twitter.com/LT5dNImsC6
— FilmyMike.com (@FilmyMikeBD) July 27, 2022
টিভি ফিকশন ও বিজ্ঞাপনের খ্যাতিমান নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমনের পরিচালনায় নির্মিত হয়েছে সমুদ্র, পানি, সম্পর্ক ও প্রতিশোধের গল্পের সিনেমা ‘হাওয়া’। মাঝসমুদ্রে গন্তব্যহীন একটি মাছ ধরার ট্রলারে আটকে পড়া আট জন মাঝি-মাল্লা এবং এক রহস্যময় বেদেনিকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে হয়েছে সিনেমাটির কাহিনি । ‘হাওয়া’র মাধ্যমে রূপকথানির্ভর সিনেমাকে পর্দায় নতুন আঙ্গিকে দেখতে পাবেন দর্শকেরা।
মেজবাউর রহমান সুমনের কাহিনী এবং সংলাপে সিনেমাটির চিত্রনাট্য রচনা করেছেন যৌথভাবে মেজবাউর রহমান সুমন, সুকর্ণ সাহেদ ধীমান এবং জাহিন ফারুক আমিন। আর সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড এবং নির্মাণ সংস্থা ফেইসকার্ড প্রোডাকশন।
সিনেমাটি প্রসঙ্গে নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন বলেন, ‘এটি সমুদ্র, পানি, সম্পর্ক ও প্রতিশোধের গল্প, যেখানে উপজীব্য সমুদ্র। গভীর সমুদ্র ও সেখানে মাছ ধরার ট্রলারকে কেন্দ্র করে নির্মিত গল্পের চলচ্চিত্র। ৮ জন মাঝিমাল্লার ও একজন বেদেনিকে নিয়েই গল্পটি তৈরি।’
উল্লেখ্য যে, তারকাবহুল এ সিনেমায় অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুশি, শরিফুল রাজ, সুমন আনোয়ার, নাসির উদ্দিন খান, সোহেল মণ্ডল, রিজভী রিজু, মাহমুদ হাসান এবং বাবলু বোস। চিত্রগ্রহণ করেছেন কামরুল হাসান খসরু এবং সম্পাদনায় আছেন সজল অলক। রাশিদ শরীফ শোয়েবের আবহ সংগীতে সিনেমাটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন ইমন চৌধুরী।
আরো পড়ুনঃ
সমুদ্রসৈকতে উম্মোচিত হচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত ‘অপারেশন সুন্দরবন’ ট্রেলার
প্রথম সপ্তাহে বাজিমাতঃ দ্বিতীয় সপ্তাহে অর্ধশতাধিক প্রেক্ষাগৃহে ‘পরাণ’
‘দ্য লাস্ট হোপ’ নামে নতুন সিনেমার ঘোষণা দিলেন অনন্ত জলিল