শাহীন আলম আর নেই: কিডনিজনিত জটিলতায় মারা গেলেন অভিনেতা

শাহীন আলম

শাহীন আলম

দীর্ঘদিন থেকে কিডনিজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের একসময়ের নায়ক শাহিন আলম। কিডনিজনিত জটিলতা গুরুতর হলে গত সপ্তাহে তাকে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জীবন যুদ্ধে হেরে গেলেন এই অভিনেতা। সোমবার রাত ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শাহীন আলম। তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।

এর আগে হাসপাতালে ভর্তির পর তাকে দেখতে গিয়ে নব্বয়ের দশকের আরেক অভিনেতা ওমর সানি বলেন, ‘শাহীন আলম আমার বন্ধু। একসঙ্গে পথ চলা আমাদের৷ অভিনয়ে অসাধারণ। দীর্ঘ সময় চলচ্চিত্রের বাইরে। কিছুদিন আগে ওকে দেখতে গিয়েছিলাম। শুনলাম ওর কিডনি দুইটাই বিকল, ডায়ালাইসিস করছে বেশ কিছুদিন যাবৎ। গতকাল ওর ছেলে ফোন দিয়েছিল শুধু বলল- আঙ্কেল বাবা লাইফ সাপোর্টে, করোনা পজিটিভ। আল্লাহকে বলি, তুমি সুস্থতা দান করো, বন্ধুকে ফিরিয়ে দাও।’

তার অসুস্থতা সম্পর্কে শাহীন আলমের ছেলে ফাহিম নূর আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আগে থেকে বাবা কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। গত সোমবার তার জ্বর আসে। আর শনিবার তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।’

১৯৮৬ সালের এফডিসির নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পান। তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘মায়ের কান্না’, যেটি ১৯৯১ সালে মুক্তি পেয়েছিল।

তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- ঘাটের মাঝি, এক পলকে, গরিবের সংসার, তেজী, চাঁদাবাজ, প্রেম প্রতিশোধ, টাইগার, রাগ-অনুরাগ, দাগী সন্তান, বাঘা-বাঘিনী, আলিফ লায়লা, স্বপ্নের নায়ক, আঞ্জুমান, অজানা শত্রু, দেশদ্রোহী, প্রেম দিওয়ানা, আমার মা, পাগলা বাবুল, শক্তির লড়াই, দলপতি, পাপী সন্তান, ঢাকাইয়া মাস্তান, বিগবস, বাবা ও বাঘের বাচ্চা।

আরো পড়ুনঃ
একসঙ্গে শাপলা মিডিয়ার ১০০ সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা!
বাংলার হারকিউলিস ডিপজল: সাথে আছেন নাদিম-মৌ

By নিউজ ডেস্ক

এ সম্পর্কিত

%d bloggers like this: