‘৮৩’ সিনেমাকে পিছনে ফেলে কলকাতা বক্স অফিস মাতাচ্ছে দেবের ‘টনিক’

কলকাতা বক্স অফিস

কলকাতা বক্স অফিস

গত ২৪ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে অভিজিৎ সেন পরিচালিত সিনেমা ‘টনিক’। করোনা মহামারীতে লকডাউনের পর পারিবারিক গল্পের বাংলা সিনেমা দেখতে আবারো হলমুখী দর্শক। ভারতের টিকিট কাটার অ্যাপ ‘বুক মাই শো’ থেকে জানা গেছে আপাতত ‘টনিক’ সিনেমার বেশ কয়েকটি শো হাউজফুল যাচ্ছে। মুক্তির প্রায় এক সপ্তাহের মাথায় সিনেমাটি বক্স অফিসে দুর্দান্ত ব্যবসা করতে সক্ষম হয়েছে। একই সাথে মুক্তিপ্রাপ্ত রনবীর সিং অভিনীত ‘৮৩’ সিনেমাকে পিছনে ফেলে কলকাতা বক্স অফিস মাতাচ্ছে দেবের ‘টনিক’।

অতনু রায়চৌধুরী এবং দেব প্রযোজিত ‘টনিক’ সিনেমাটি দর্শক মাতাচ্ছে প্রেক্ষাগৃহ জুড়ে। কলকাতা সিনেমার বাণিজ্য বিশ্লেষক পঙ্কজ লাডিয়া বলেন, ‘টনিক এখনও পর্যন্ত অতিমারি কালের সবচেয়ে সফল বাংলা ছবি। বক্স অফিসে ৮৩র থেকে বেশি অর্থ এই ছবি সংগ্রহ করতে পারেনি ঠিকই। কিন্তু দর্শক এই ছবি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন। এক একটি প্রেক্ষাগৃহে ৭৫-৮০% শতাংশ দর্শকাসন ভরে যাচ্ছে। ৮৩র ক্ষেত্রে কিন্তু তা দেখা যাচ্ছে না। এ বছর এখনও পর্যন্ত যত বাংলা ছবি মুক্তি পেয়েছে, সেগুলির মধ্যে টনিক সফলতম।‘

‘টনিক’ সিনেমাটি দেখতে দর্শকদের ভিড় উপচে পরা ভিড় দেখা গেলেও আয়ের দিক থেকে এগিয়ে আছে কবির খান পরিচালিত ‘৮৩’ সিনেমাটি। এ প্রসঙ্গে পঙ্কজ আরো বলেন, ‘হিন্দি ছবি ৮৩ বেশি সংখ্যক প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। এই ছবির টিকিটের দামও অনেক বেশি। আবার শোয়ের সংখ্যাও টনিক  থেকে বেশি। বাংলা ছবির টিকিটের দাম এত বাড়িয়ে দিলে হয়তো মানুষ ছবিটি দেখতে আসবেন না। তাই ৮৩ ব্যবসার দিকে টনিক সিনেমার থেকে খানিক এগিয়ে।‘ কিন্তু কম সংখ্যক প্রেক্ষাগৃহে, কমদামি টিকিটেও যে বাজিমাত করা যায়, তা হাতেনাতে প্রমাণ দিচ্ছে ‘টনিক’।

এদিকে জানা গেছে সিনেমাটি মুক্তির সময় ‘৮৩’র চাপে প্রেক্ষাগৃহ পেতে হিমশিম খেতে হয়েছে সিনেমাটির প্রযোজক দেবকে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা-প্রযোজক দেব বলেন, ‘বুড়োদের নিয়ে তৈরি ছবি বক্স অফিসে মার খাবে বলে ধরে নিয়েছিলেন অনেকেই। সেই টনিক’ই আপাতত সব হিসেব ওলটপালট করে ২০২১-এর সব চেয়ে সফল বাংলা ছবি। নতুন প্রাণ এনে দিয়েছে টলিউডেও।‘

সিনেমাটির এমন সাফল্যে খুশি দেব। তিনি মনে করেন, ছবির গল্প ভাল হলে সব বাধাবিপত্তি পেরিয়েই তা সাফল্যের মুখ দেখবে। দেবের সাথে সহমত পোষণ করে সিনেমাটির পরিচালক অভিজিৎ সেন বলেন, ’ছবির বিষয় শেষ কথা বলবে। গল্প ভাল হলে দর্শক তা দেখতে নিশ্চয়ই প্রেক্ষাগৃহে আসবেন। টনিক-এর অনেক শো আপাতত হাউজফুল। এই ছবিটা আমরা খুব ভালবেসে তৈরি করেছি। প্রত্যাশাও ছিল অনেক। এখন টনিক-কে এই বছরের সফলতম বাংলা ছবি বলা হচ্ছে। পরিচালক হিসেবে এর চেয়ে বেশি আনন্দের আর কী হতে পারে!’

অন্যদিকে সিনেমাটির অন্যতম অভিনেতা পরান বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করছেন, বহু দিন পরে মনের মতো ছবির হদিশ পেয়েছেন দর্শক। তাঁদের উৎসাহেই একাধিক অসুবিধার সম্মুখীন হয়েও হিন্দি ছবিকে জোর ‘টক্কর’ দিতে পারছে টনিক। বর্ষীয়ান এই অভিনেতা বলেন, ‘দীর্ঘ দিন পর উপোসী দর্শক মনের মতো কিছু একটা পেয়েছেন। ছবি দেখে তাঁরা আনন্দ পেয়েছেন। পেয়েছেন বিনোদন এবং নান্দনিক অনুভূতি। ইন্ডাস্ট্রির পক্ষেও তা শুভ। টনিক-এর একজন সদস্য হিসেবে তাই আমার খুবই আনন্দ হচ্ছে।‘

আরো পড়ুনঃ
‘রাবণ’ সিনেমার ফার্স্ট লুকে বিধ্বংসী জিতঃ জানালেন মুক্তির তারিখ
প্রকাশ্যে ‘গোলন্দাজ’ সিনেমার ট্রেলার: প্রশংসায় ভাসছেন অভিনেতা দেব
দেবের সঙ্গে নতুন সিনেমায় অভিনয় প্রসঙ্গে যা বললেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়

By নিউজ ডেস্ক

এ সম্পর্কিত