চিত্রনায়ক জায়েদ খানকে বয়কট করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের ১৮ সংগঠন

চিত্রনায়ক জায়েদ খানকে বয়কট

চিত্রনায়ক জায়েদ খানকে বয়কট

গত ২৮শে জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের পর থেকেই চলছে নাটকীয়তা। নির্বাচনের দিন এফডিসির অন্য সংগঠনের সদস্যদের এফডিসিতে ঢুকতে না দেয়ার কারনে জায়েদ খান এবং এফডিসির বিরুদ্ধে অবস্থান করছেন সংঘঠনগুলোর নেতারা। এদিকে সম্প্রতি বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের ১৮ সংগঠন চিত্রনায়ক জায়েদ খানকে বয়কট করেছে বলে জানিয়েছেন চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু। গত মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ১৮ সংগঠনের এক বৈঠকে জায়েদ খানকে নিয়ে এই সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘জায়েদ আমাদের কোনো সংগঠনকে মানেন না। সিনিয়রদেরকেও সমীহ করেন না। যেহেতু তিনি নিজের মেজাজ-মর্জি অনুসারে চলেন তাই সংগঠনগুলোরও তাকে আর দরকার নেই। আমরা কেউই জায়েদের সঙ্গে কাজ করব না। যদি কোনো সংগঠনের কোনো সদস্য জায়েদের সঙ্গে কাজ করেন তাহলে সংশ্লিষ্ট সংগঠন সেই সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। দরকার পড়লে সদস্যপদও বাতিল করা হবে।’

এদিকে জায়েদ খানকে সাধারন সম্পাদক পদে বহাল রাখার জন্য হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করেন চিত্রনায়িকা নিপুণ। তার আপিলের প্রেক্ষিতে আগামী ১৩ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হাইকোর্টের এই রায়কে স্থগিত ঘোষনা করেছে আপিল বিভাগ। জানা গেছে বুধবার উচ্চ আদালতের নির্দেশনা আসার আগ পর্যন্ত ‘বয়কট’-র খবরটি প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ১৮ সংগঠনের সদস্যরা। বিকেলে আদালতের নির্দেশনা আসার পর আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমের কাছে চিত্রনায়ক জায়েদ খানকে বয়কট করার কথা জানান সংগঠনের নেতারা।

প্রসঙ্গত, উক্ত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, চিত্রগ্রাহক সমিতির সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান মজনু এবং শিল্পী সমিতির আজীবন সদস্য অভিনেতা আলমগীর, নবনির্বাচিত সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, অভিনেত্রী নিপুণ, সাইমন সাদিকসহ চলচ্চিত্রের অন্য সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা। তবে গতকালের বৈঠকে জায়েদ খানকে বয়কটের সিদ্ধান্ত নিলেও তখন খবরটি গোপন রাখা হয়।

এদিকে ১৮ সংগঠনের নেতারা দাবি করছেন জায়েদ খান ও এফডিসির এমডি নুজহাত ইয়াসমিনের যোগসাজশে নির্বাচনের দিন অন্য সংগঠনের কাউকে এফডিসিতে প্রবেশ করতে দেয়নি। এছাড়া শিল্পী সমিতির নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহীদুল হারুন ও জায়েদ খান ভোটকে প্রভাবিত করতে নানা অপতৎপরতা চালিয়েছেন বলেও তাদের দাবি করেন তারা। এ কারণে এর আগে পীরজাদা শহীদুল হারুনকেও নিষিদ্ধ করা হয়।

আরো পড়ুনঃ
শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ঝুলছে নতুন তালাঃ বদলে গেছে চেয়ার
নির্বাচন নিয়ে অভিযোগঃ নিপুণের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন জায়েদ
শিল্পীদের সদস্যপদ বাতিল প্রশ্নে জায়েদ খানের সমালোচনায় আলমগীর

By নিউজ ডেস্ক

এ সম্পর্কিত

%d