‘মিশন এক্সট্রিম’র ইরাঃ প্রথম সিনেমায় প্রশংসিত নবাগত সাদিয়া নাবিলা

নবাগত সাদিয়া

নবাগত সাদিয়া

অবশেষে করোনা মহামারী শেষে নতুন দিনের আলো দেখাচ্ছে ৩রা ডিসেম্বর মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘মিশন এক্সট্রিম’। দেশের ৫০টি প্রেক্ষাগৃহের পাশাপাশি বহুলপ্রতীক্ষিত এই সিনেমাটি একই দিনে মুক্তি পেয়েছে আমেরিকা, ফ্রান্স, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার আরো ২৪টি প্রেক্ষাগৃহে। জানা গেছে ঢালিউডের জন্য নতুন আশার আলো হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে আরিফিন শুভর ‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমাটি। সিনেমাটিতে আরিফিন শুভ এবং তাসকিনের অভিনয় ব্যপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। তবে এই দুই তারকার পাশাপাশি সিনেমাটিতে সবার নজর কেড়েছেন নবাগত সাদিয়া নাবিলা।

সিনেমাটিতে নাবিলা ইরা নামে একজন পুলিশ অফিসার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আরিফিন শুভর পাশাপাশি তিনি ছিলেন সিনেমাটির অন্যতম প্রধান আকর্ষন। তীক্ষ্ণ দৃষ্টি এবং চরিত্রের বোল্ডনেস দিয়ে দর্শকদের নজর কেড়েছেন নাবিলা। ‘পারেশান পারিন্দা’ সিনেমা দিয়ে তার আগেই বলিউডে আত্মপ্রকাশ করলেও ‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমার মাধ্যমে বাংলা সিনেমায় অভিষিক্ত সৈয়দপুরের মেয়ে সাদিয়া নাবিলা। প্রথম সিনেমায়ই সবার নজর কেড়েছেন এই অভিনেত্রী।

নবাগত সাদিয়া

সিনেমাটিতে দর্শকদের প্রশংসা নিয়ে একটি সংবাদ মাধ্যমের সাথে আলাপকালে নাবিলা বলেন, ‘অনেক ভালো লাগছে।কারণ বাংলাদেশের মেয়ে হলেও বলিউডের সিনেমা দিয়ে আমার চলচিত্রে যাত্রা শুরু হয়। বাংলা চলচিত্রে আমার যাত্রাটা শুরু হলো মিশন এক্সট্রিম সিনেমা মাধ্যমে। ইতিমধ্যে অনেক এসএমএস এবং রিভিউ পাচ্ছি পজিটিভ। কল্পনা করিনি দর্শক এতোটা পজিটিভ ভাবে আমাকে একসেপ্ট করবেন। সবার কাছে কৃতজ্ঞ আমি, আমার ইরা চরিত্রটি সবাই পছন্দ করার জন্য।‘

এদিকে সিনেমাটির মুক্তির সময়ে দেশে নেই সাদিয়া নাবিলা। এ প্রসঙ্গে একটি প্রশ্নের উত্তরে নাবিলা বলেন, ‘২০১২ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়া থাকি। মাঝে মধ্যে কাজের জন্য দেশে যাওয়া হয়।করোনার কারণে সিনেমার প্রচারণায় অংশ নিতে পারছিনা।অস্ট্রেলিয়ায় লম্বা একটা সময় লকডাউন ছিল। যার জন্য বাংলাদেশে আসতে পারিনি। খুবই খারাপ লেগেছে।এটা ভেবে যে আমার বাংলা সিনেমা দর্শকের সঙ্গে বসে হলে দেখতে পারলাম না। তবে এখন থেকে নিয়মিত অনলাইন মাধ্যমে বিভিন্ন টকশো এবং সংবাদ মাধ্যম সাক্ষাৎকার দিচ্ছি।পাশাপাশি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মিশন এক্সট্রিম এর প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি যতদূর সম্ভব।‘

নবাগত সাদিয়া

এছাড়া তার অভিনীত চরিত্র ইরা প্রসঙ্গে সাদিয়া নাবিলা আরো বলেন, ‘ইরা বানোয়াট কোনো চরিত্র না। ইরা হচ্ছে বাংলাদেশের সেসব নারীদের একজন যারা নিজেদের পেশাকে প্রাধান্য দেয়ার জন্য দিনরাত কষ্ট করে যাচ্ছেন। যুদ্ধ করে যাচ্ছেন সমাজের সঙ্গে। নিজের চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে সাদিয়া নাবিলার প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়েছে।চরিত্রটা ধারণ করার জন্য আমার পরিচালক সানী ভাইয়ার সঙ্গে বসে আলোচনা করেছি। দুই বছর সময় নিয়ে সিনেমাটি করেছি। যখন চরিত্রটা প্লে করছিলাম তখন আমার মাথায় শুধু একটা বিষয় ছিল, আমি কোনো বানোয়াট চরিত্রে অভিনয় করছি না।‘

উল্লেখ্য যে, ‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ। এছাড়াও সিনেমাটিতে আরো অভিনয় করেছেন ‘ঢাকা অ্যাটাক’ খ্যাত তাসকিন রহমান, জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী, ও সুমিত সেনগুপ্ত। আরো কয়েকটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাইসুল ইসলাম আসাদ, ফজলুর রহমান বাবু, শতাব্দী ওয়াদুদ, মাজনুন মিজান, ইরেশ জাকের, মনোজ প্রামাণিক, আরেফ সৈয়দ, সুদীপ বিশ্বাস দীপ, রাশেদ মামুন অপু, এহসানুল রহমান, দীপু ইমাম, সৈয়দ নাজমুস সাকিবসহ অনেকে।

কুল নিবেদিত আরিফিন শুভর ‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে কপ ক্রিয়েশনের ব্যানারে। পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট তথা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ‘সিটিটিসি’র কিছু শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত হয়েছে এই সিনেমা। সিনেমাটির গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন পুলিশ সুপার সানী সানোয়ার নিজেই। সিনেমাটির সহযোগী প্রযোজক হিসেবে রয়েছে মাইম মাল্টিমিডিয়া ও ঢাকা ডিটেকটিভ ক্লাব।

আরো পড়ুনঃ
মিশন এক্সট্রিম রিভিউ
ঢাকাই সিনেমার নতুন আশার আলো আরিফিন শুভর ‘মিশন এক্সট্রিম’
‘মিশন এক্সট্রিম’ দিয়ে প্রেক্ষাগৃহে ফিরলেন দর্শকঃ টিকেট বিক্রিতে রেকর্ড

By নিউজ ডেস্ক

এ সম্পর্কিত

%d