বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে দুর্দান্ত শুরু করলো মার্ভেলের ‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ২’

মার্ভেলের 'ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ২’

মার্ভেলের 'ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ২’

ডিজনির ‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ইন দ্য মাল্টিভার্স অফ ম্যাডনেস’ সিনেমার মাধ্যমে মার্ভেলে প্রত্যাবর্তন করেছেন স্যাম রাইমি। সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাটি বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে দুর্দান্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে। হলিউডের প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম ডেডলাইনের প্রতিবেদন অনুযায়ী মুক্তির প্রথম দিনে মার্ভেলের ‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ২’ সিনেমাটি বক্স অফিসে প্রায় ৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে। এরমধ্যে মুক্তির আগের দিন বৃহস্পতিবার সিনেমাটির পেইড প্রিভিউ থেকে আয়ের ৩৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের মাধ্যমে প্রথম দিনের আয়ে সর্বকালের সেরা সিনেমাগুলোর মধ্যে অষ্টম স্থানে অবস্থান করছে মার্ভেলের ‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ২’ সিনেমাটি। সিনেমাটির আগের অবস্থানে রয়েছে ‘স্টার ওয়ার্স: রাইজ অফ স্কাইওয়াকার’ এবং নবম স্থানে রয়েছে ‘অ্যাভেঞ্জার্সঃ এইজ অফ আলট্রন’ সিনেমাটি। এছাড়া ২০১৯ সালে মহামারী শুরুর আগের ব্লকবাস্টার ডিজনির সিনেমা ‘স্কাইওয়াকার’ এর পর বক্স অফিসে সবচেয়ে উদ্বোধনী পেলো ‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ২’।

সিনেমার ট্রেড বিশেষজ্ঞদের অনুমান অনুযায়ী প্রথম সপ্তাহান্তে ‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ২’ সিনেমাটির বক্স অফিসে ১৯০-২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করতে সক্ষম হবে। কিন্তু যদি ফ্রন্টলোড করা টিকিট বিক্রয় সেট করা হয়, তাহলে তাহলে প্রথম তিনদিনের আয় ১৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হতে পারে। এরমধ্যে মা দিবস আগামী রবিবার এবং ওয়ান্ডা ম্যাক্সিমফ একজন আগ্রাসী মা হওয়া স্বত্বেও ‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ২’ সিনেমাটির মা দিবসে দর্শক টানার মত সিনেমা নয় বলেই মনে করছেন অনেকে।

এদিকে মুক্তির আগের দিন বিশেষ প্রদর্শনিতে ‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ইন দ্য মাল্টিভার্স অফ ম্যাডনেস’ সিনেমাটি আয় করেছে ৩৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। করোনা মহামারীর পর এটি ছিলো দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘স্পাইডার ম্যানঃ নো ওয়ে হোম’ সিনেমাটি মুক্তির আগের বিশেষ প্রদর্শনি থেকে আয় করেছিলো ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর সর্বকালের হিসেবে বিশেষ প্রদর্শনি থেকে আয়ে ‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ইন দ্য মাল্টিভার্স অফ ম্যাডনেস’ সিনেমাটি অবস্থান অষ্টম স্থানে।

স্যাম রাইমি পরিচালিত ডিজনির বহুল প্রতীক্ষিত এই সিনেমাটির নির্মাতারা ৪,৫৩৪টি প্রেক্ষাগৃহে বিশেষ প্রদর্শনির আয়োজন করেছিলেন। প্রেক্ষগৃহের হিসেবে এটি ছিলো সবচেয়ে বড় পরিসরে মুক্তি পাওয়া সপ্তম সিনেমা। যেহেতু সিনেমাটি মার্ভেলের তাই প্রশ্ন থেকেই যায় সিনেমাটির অগ্রিম টিকেট বিক্রি কেমন হয়েছে? সিনেমা বিশেষজ্ঞদের ধারনা অনুযায়ী এই সংখ্যাটি ১৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কম নয়। মহামারীর সময়ে এটিই ডিজনির সবচেয়ে বড় বক্স অফিস শুরু।

অন্যদিকে বক্স অফিসে হিসেবের বাইরে সমালোচকদের কাছে তেমন প্রশংসা পায়নি ‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ইন দ্য মাল্টিভার্স অফ ম্যাডনেস’। যেখানে ২০১৬ সালে সিনেমাটির প্রথম পর্বের রটেন টম্যাটোস রেট ছিলো ৮৯%, সেখানে ‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ২’ সিনেমাটির স্কোর হচ্ছে ৭৭%। এর আগে মার্ভেলের ‘স্পাইডার ম্যানঃ নো ওয়ে হোম’ সিনেমাটির রটেন টম্যাটোস স্কোর ছিলো ৯৩%। সে হিসেবে ‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ইন দ্য মাল্টিভার্স অফ ম্যাডনেস’ সিনেমাটির তুলনা হতে পারে ‘অ্যাভেঞ্জার্সঃ এইজ অফ আলট্রন’ সিনেমার সাথে। এই সিনেমাটি রটেন টম্যাটোস স্কোর ছিলো ৭৬%।

‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ইন দ্য মাল্টিভার্স অফ ম্যাডনেস’ সিনেমাটি বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচকে রকিং কনজুরার হিসাবে ফিরিয়ে এনেছে। সেই সাথে সিনেমাটিতে আরো যুক্ত হয়েছে এলিজাবেথ ওলসেন, চিওয়েটেল ইজিওফোর, বেনেডিক্ট ওং এবং র্যাচেল ম্যাকঅ্যাডামস। এছাড়াও সিনেমাটিতে কিছু এমসিইউ ক্যামিও রয়েছে যা ভক্তদের আনন্দে মাতাবে। সিনেমাটি পরিচালনা করেছে স্যাম রাইমি, যিনি মূলত মূল ‘স্পাইডার-ম্যান’ ট্রিলজি দিয়ে আধুনিক কমিক-বুক মুভির যুগের সূচনা করেছিলেন। ‘স্পাইডার-ম্যান: নো ওয়ে হোম’ এর মতো ’ডক্টর স্ট্রেঞ্জ’ মাল্টিভার্সের গভীরে তলিয়ে যায়, যা বিভিন্ন টাইমলাইনের পোশাক পরা নায়কদের একসাথে একটি দুর্দান্ত পুরানো সময় কাটাতে সক্ষম করে।

আরো পড়ুনঃ
‘ফাস্ট এন্ড ফিউরিয়াস’ দশম পর্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন জাস্টিন লিন
বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে ঝড় তুলছে ডিসির নতুন সিনেমা ‘দ্য ব্যাটম্যান’
যুক্তরাষ্ট্র বক্স অফিসে ‘অ্যাভাটার’ সিনেমাকে ছাড়িয়ে গেলো ‘স্পাইডার-ম্যান’

By নিউজ ডেস্ক

এ সম্পর্কিত

%d