হলিউড থেকে মেক্সিকোঃ বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০টি চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি

সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি

সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি

চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি একটি বিশাল এবং অন্যতম বড় বৈশ্বিক অর্থনৈতিক শক্তি। আজকের সংস্কৃতিতে, চলচ্চিত্রগুলো প্রধান ভূমিকা পালন করে এবং একটি দেশের জিডিপিতে অবদান রাখে। প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার চলচ্চিত্র নির্মিত হয় যেগুলো থেকে বিলিয়ন ডলার আয় হয়ে থাকে। বর্তমানে সিনেমা পৃথিবীতে বিনোদনের অন্যতম জনপ্রিয় উৎস। এটি এমন কিছু যা আমাদের কখনই ক্লান্ত করে না, কারণ এটি আমাদের জীবেন প্রতিনিয়ত বিনোদন নিয়ে আসে। এছাড়া সমাজের মধ্যে জ্ঞান ভাগ করে নেওয়ার জন্যও এটি একটি চমৎকার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে থাকে।

কম বেশী আমরা সবাই সিনেমা দেখতে পছন্দ করি। চলচ্চিত্র আমাদের উপলব্ধি পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখে এবং সমাজে একটি অসাধারণ প্রভাব ফেলে। কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে কয়েক ঘন্টার বিনোদন নিয়ে আমাদের কাছে সিনেমা পরিবেশন করার জন্য চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং কলাকুশলীরা কতটা পরিশ্রম করেছেন? একটি চলচ্চিত্রকে সম্পূর্ন রুপ দিতে চিত্রনাট্য, সিনেমাটোগ্রাফি, প্রি-প্রোডাকশন, পোস্ট-প্রোডাকশন, অভিনেতা, বিতরণ এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের সমষ্টির প্রয়োজন হয়।

চলচ্চিত্র নির্মাণ একটি দীর্ঘ, বৌদ্ধিক এবং শারীরিকভাবে ক্লান্তিকর প্রক্রিয়া। একটি ‘সফল চলচ্চিত্র’ তৈরি করতে বিভিন্ন বিভাগের সমন্বিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন হয়। যাইহোক, হাজার হাজার হালেও কয়েক ঘন্টা বিনোদনের জন্য শত শত চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং কর্মচারী অনুগতভাবে কাজ করে থাকেন। তারা বছরের পর বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন যাতে সবাই প্রেক্ষাগৃহের পর্দায় উজ্জ্বল এবং ঝলমলে গল্প উপভোগ করতে পারে।

চলচ্চিত্র শিল্প কত বড় এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে এর প্রভাব কতটা শক্তিশালী সে সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দেওয়ার জন্য বিস্তারিত কিছু আলোচনা থাকবে এই লিখায়। বক্স অফিস আয়ের ভিত্তিতে বিশ্বের দশটি বৃহত্তম চলচ্চিত্র শিল্পের একটি তালিকা নিয়ে কথা বলো আজ৷ তবে একটি কথা এখানে পরিষ্কার করা দরকার যে, এই সংখ্যাগুলিতে হোম ভিডিও বা টেলিভিশন অন্তর্ভুক্ত নয়৷ সিনেমা মুক্তির মাধ্যমে প্রেক্ষাগৃহ থেকে অর্জিত আয়ের হিসেবে সাজানো হয়েছে তালিকাটি।

০১। যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি
যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি হলিউড হিসেবে পরিচিত এবং আয়ের দিক থেকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি। ২০২২ সালে হলিউড চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি থেকে মুনাফার পরিমাণ ছিলো ১১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়া মুনাফার দিক থেকেও এগিয়ে আছে হলিউড। টিকেট বিক্রি থেকে আয়ের ৪৮% মুনাফা আসে হলিউডে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্র শিল্পের বয়স প্রায় ১২০ বছর। এই ইন্ডাস্ট্রিটি হলিউড নামে বিশ্বব্যাপী পরিচিত যা পৃথিবীর সবচেয়ে পুরানো এবং সবচেয়ে লাভজনক ইন্ডাস্ট্রি। ক্যালিফোর্নিয়ার লস এঞ্জেলেসে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি হলিউড।

০২। চাইনিজ চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি
হলিউডের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম চলচ্চিত্র নির্মাণ শিল্প হিসাবে স্থান করে নিয়েছে চাইনিজ চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি। গত এক দশকে, চীনের চলচ্চিত্র ব্যবসা বার্ষিক ৩৫% হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। চীনে দুই বছরের মধ্যে ১,৬১২টিরও বেশি সিনেমা হল তৈরি হয়েছে। হেংডিয়ান ওয়ার্ল্ড স্টুডিও চীনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সিনেমা নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান। ২০২২ সালে চাইনিজ চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি থেকে অর্জিত মুনাফার পরিমাণ ৬.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বলে ধারনা করা হচ্ছে।

০৩। যুক্তরাজ্য চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি
বার্ষিক ৬.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের মাধ্যমে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে তালিকায় স্থান করে নিয়েছে যুক্তরাজ্যের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি। ইউনাইটেড কিংডমে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে একটি ক্রমবর্ধমান চলচ্চিত্র শিল্প রয়েছে। ১৯৩৬ সালে চলচ্চিত্র নির্মাণের শীর্ষে থাকাকালীন সময়কে ব্রিটিশ সিনেমার ‘স্বর্ণযুগ’ হিসেবে অভিহিত করা হয়ে থাকে। ১৯৪০ এর দশকে ব্যাপকভাবে পরিচিত ডেভিড লিন, মাইকেল পাওয়েল এবং ক্যারল রিডের মতো পরিচালকরা তাদের সবচেয়ে প্রশংসিত মাস্টারপিস তৈরি করেছিলেন। বিশ্বব্যাপী সর্বকালের সেরা আটটি সর্বোচ্চ আয়ের চলচ্চিত্রের মধ্যে দুটিতে কিছু ব্রিটিশ ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক বা সৃজনশীল মাত্রা রয়েছে যেমন টাইটানিক, হ্যারি পটার এবং ডেথলি হ্যালোস পার্ট-২, দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস- দ্য রিটার্ন অফ দ্য কিং, পাইরেটস অফ ক্যারিবিয়ান-ডেড ম্যানস চেস্ট, অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড ইত্যাদি। এছাড়া অর্ধেকেরও বেশি আর্থিকভাবে সফল চলচ্চিত্রগুলোতে একটি ব্রিটিশ মাত্রা ছিল।

০৪। জাপান চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি
জাপানের চলচ্চিত্র শিল্প হোগা নামে পরিচিত, যার অর্থ দেশীয় সিনেমা। জাপানের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম, যার আয় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। জাপানের সিনেমার একটি সমৃদ্ধ এবং মর্যাদাপূর্ণ ইতিহাস রয়েছে যা এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে টিকে আছে। জাপান ১৮৯৭ সাল থেকে চলচ্চিত্র তৈরি করছে যখন প্রথম বিদেশী ক্যামেরাম্যানরা আসেন। ১৯৫০ এর দশককে জাপানি সিনেমার স্বর্ণযুগ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই দশকের তিনটি জাপানি চলচ্চিত্র সর্বকালের সেরা চলচ্চিত্রের সমালোচকদের জরিপের শীর্ষ দশে স্থান করে নিয়েছে। ক্যাটারপিলার ৬০তম বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেত্রীর জন্য সিলভার বিয়ার জিতেছেন।

০৫। ভারত চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি
হলিউডের তুলনায় ভারতীয় চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি প্রতি বছর সর্বাধিক চলচ্চিত্র মুক্তির জন্য বিখ্যাত। বলিউড থেকে প্রতি বছরে গড়ে ১,২০০টি চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়ে থাকে। দক্ষিণ এশিয়া, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, এশিয়া, বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য, পূর্ব আফ্রিকা, চীন এবং অন্যত্র ভারতীয় সিনেমা নিয়মিত প্রদর্শিত হয়ে থাকে। বক্স অফিসের হিসেবে ভারতীয় চলচ্চিত্রগুলি বিশ্বব্যাপী ৫তম ধনী ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে তালিকায় রয়েছে, যার মোট বার্ষিক আয়ের পরিমাণ ১.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৯ সালে, হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি (বলিউড) বক্স অফিস আয়ের ৪৪% প্রতিনিধিত্ব করে। এরপর তালিকায় রয়েছে তামিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি (কলিউড) এবং তেলেগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি (টলিউড)। দাবাসাহেব ফালকেকে ভারতীয় চলচ্চিত্রের জনক বলা হয়।

০৬। ফ্রান্স চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি
প্রতি বছর নির্মিত চলচ্চিত্রের সংখ্যার ক্ষেত্রে ফ্রান্স ইউরোপের সবচেয়ে সফল স্বয়ংসম্পূর্ণ চলচ্চিত্র শিল্প হিসেবে পরিচিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরে এটি দ্বিতীয় সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র রপ্তানিকারক। এটি সিনেমার জন্মস্থান হিসাবে বিবেচিত হয় এবং চলচ্চিত্র শিল্পের অনেক দুর্দান্ত সাফল্যের জন্য ফ্রান্সকে স্বীকৃতি দেয়া হয়। আন্তর্জাতিকভাবে মর্যাদাপূর্ন কান চলচ্চিত্র উৎসব এবং পরিচালক ও অভিনয়শিল্পীদের জন্য মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার অনুষ্ঠানের সাথে জড়িত। তাছাড়া, এখানে ফ্রান্সের লোকেরা সিনেমা দেখতে খুব পছন্দ করে যা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে বছরে ১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বক্স অফিস আয়ে সাহায্য করে। ফরাসি সরকার এটিকে সবচেয়ে শক্তিশালী চলচ্চিত্র শিল্প হিসাবে পর্যাপ্ত সুরক্ষা প্রদান করে থাকে।

০৭। দক্ষিণ কোরিয়া চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি
বিশ্বের সর্বোচ্চ মানের চলচ্চিত্র নির্মানের জন্য কোরিয়ান ভাষার চলচ্চিত্র শিল্পকে হলিউডের সাথে তুলনা করা হয়ে থাকে। এটি এমন একটি বিরল দেশ যেখানে লোকেরা আমদানি করা চলচ্চিত্রের চেয়ে দেশীয় চলচ্চিত্র দেখতে পছন্দ করে। দক্ষিণ কোরিয়ার সিনেমাগুলো হল বিশ্বের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন এবং আবেগের দিক থেকে ভালভাবে লেখা সিনেমা। কোরিয়ান সরকার এটিকে ভবিষ্যতের অর্থনীতি বলে মনে করে। যদিও হলিউড বেশিরভাগ বাজারের মালিক, কোরিয়ান চলচ্চিত্র শিল্প বক্স অফিসে বছরে ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে থাকে। এটি বিশ্বের সপ্তম ধনী চলচ্চিত্র শিল্প, যেখানে মাথাপিছু সবচেয়ে বিশিষ্ট চলচ্চিত্রের উপস্থিতি রয়েছে।

০৮। জার্মানি চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি
জার্মান সিনেমা প্রাথমিক চলচ্চিত্র, সম্প্রচার এবং টেলিভিশন প্রযুক্তিতে উল্লেখযোগ্য প্রযুক্তিগত এবং শৈল্পিক অবদান রেখেছিল। আজকের সবচেয়ে বড় জার্মান প্রযোজনা স্টুডিওগুলির মধ্যে রয়েছে ব্যাবেলসবার্গ স্টুডিও, বাভারিয়া ফিল্ম, কনস্ট্যান্টিন ফিল্ম। আন্তর্জাতিকভাবে, রোনাল্ড এমমেরিচ বা উলফগ্যাং পিটারসেনের মতো জার্মান চলচ্চিত্র নির্মাতারা পরিচালক এবং প্রযোজক হিসাবে সফল ক্যারিয়ার তৈরি করেছিলেন। জার্মান চলচ্চিত্র পুরস্কার যেমন বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘দ্য গোল্ডেন বিয়ার পুরস্কার’ এবং ইউরোপীয় পুরস্কার ‘কান’ শীঘ্রই আমেরিকান একাডেমি পুরস্কারের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এবং জার্মান ইউরোপীয় চলচ্চিত্রের প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করে। জার্মান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বছরে প্রায় ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে থাকে। এটি বিশ্বব্যাপী অষ্টম সবচেয়ে সমৃদ্ধ চলচ্চিত্র শিল্পে স্থান করে নিয়েছে।

০৯। অস্ট্রেলিয়া চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি
অসংখ্য অভিনেতা এবং চলচ্চিত্র নির্মাতাদের উৎপত্তির মাধ্যমে এই চলচ্চিত্র শিল্প আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেছে। অস্ট্রেলিয়ান চলচ্চিত্র শিল্প প্রতি বছর প্রচুর সংখ্যক চলচ্চিত্র নির্মাণ করে চলেছে। তবুও, অস্ট্রেলিয়া প্রায়শই হলিউডের সাথে অন্যান্য ইংরেজি-ভাষী দেশগুলির সাথে সাধারণভাবে প্রতিযোগিতা করা চ্যালেঞ্জিং বলে মনে করেছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের নাটক ‘বেনিথ হিল ৬০’ অসংখ্য পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার চলচ্চিত্র শিল্পটি বিশ্বের ৯ম সবচেয়ে সমৃদ্ধ চলচ্চিত্র শিল্প হিসাবে তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। ২০২১ সালে এই ইন্ডাস্ট্রির মোট আয়ের পরিমাণ ছিলো প্রায় ০.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

১০। মেক্সিকোর চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি
১৯৬০ এবং ১৯৭০ এর দশকে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা না হওয়া পর্যন্ত মেক্সিকান সিনেমার সিনেমা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, হলিউড সিনেমায় মেক্সিকানদের একটি গ্রুপের ক্রমবর্ধমান সাফল্য লক্ষ্য করা গেছে, বিশেষ করে পরিচালক আলফোনসো কুয়ারন, আলেজান্দ্রো গঞ্জালেজ, গুইলারমো দেল তোরো উল্লেখযোগ্য। এই তিনজন পরিচালকই একাডেমি পুরস্কার এবং সেরা পরিচালকের জন্য গোল্ডেন গ্লোব জিতেছিলেন টানা তিন বছর। এই ইন্ডাস্ট্রির বিক্রি হওয়া টিকিটের সংখ্যা ৩০.৫ মিলিয়নের বেশী যেখান থেকে বক্স অফিস আয়ের পরিমাণ প্রায় ০.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মেক্সিকান সিনেমার তারকাদের বিস্তৃত গ্যালারিতে পেড্রো ইনফ্যান্টে এখন পর্যন্ত এই ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে টিকে আছেন।

চলচ্চিত্র শিল্প বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সৃজনশীল শিল্পগুলির মধ্যে একটি। অনুমান করা হয়েছে যে ১০০ মিলিয়নেরও বেশি লোক এই সেক্টরে কাজ করছে এবং এর আয়ে অবদান রাখছে, যার মূল্য বিশ্বব্যাপী ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সংখ্যাটি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে কারণ আরও বেশি দেশ তাদের অবস্থান তৈরি করতে চলচ্চিত্র শিল্পে বিনিয়োগ করছে। সারা বিশ্ব থেকে এই সমস্ত দুর্দান্ত সিনেমা দেখার জন্য আপনার অনুসন্ধানে আপনাকে সাহায্য করার জন্য আমরা কিছু প্রধান চলচ্চিত্র শিল্পের একটি তথ্যপূর্ণ তালিকা তৈরি করেছি যেখানে আজ বেশিরভাগ সিনেমা তৈরি হয়ে থাকে।

আরো পড়ুনঃ
‘দৃশ্যাম’ ছাড়াও যে পাঁচটি সিনেমার অসাধারণ সিক্যুয়েল আপনার দেখা উচিত
বয়কট প্রচারণা কি সিনেমার বক্স অফিস সংগ্রহকে প্রভাবিত করছে?
টম ক্রুজ এবং কমল হাসানের পর ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায় শাহরুখ খান

By নিউজ ডেস্ক

এ সম্পর্কিত

%d