‘নাকফুল’ নামে নতুন একটি সিনেমা নির্মান করতে যাচ্ছে বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড। বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর কাওরান বাজারে আরটিভির প্রধান কার্যালয়ে সিনেমার চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া লিমিটেডের পরিচালক ও আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত নতুন এই সিনেমাটিতে জুটিবদ্ধ হচ্ছেন জিয়াউল রোশান এবং পূজা চেরি।
বাঙালী নারীর ঐতিহ্য, সংস্কৃতি আর ভালোবাসার প্রতীক নাকফুল নিয়ে সিনেমার গল্পটি লিখেছেন ফেরারী ফরহাদ। তরুণ নির্মাতা অলক হাসানের পরিচালনায় ‘নাকফুল’ সিনেমাটি প্রসঙ্গে পূজা চেরী বলেন, ‘নাকফুল একটি নারীর কাছে বিশেষ এক অলঙ্কার। নারীদের কাছে এক আবেগের গয়না। সিনেমাতেও দর্শকের মনে জায়গা করে নেবে। আশা করি কাজটি খুব ভালো হবে। দর্শকরা নিরাশ হবেন না।’
জানা গেছে গ্রামীণ প্রেক্ষাপটে নির্মিত হতে যাচ্ছে সিনেমা ‘নাকফুল’। সিনেমাটি প্রসঙ্গে জিয়াউল রোশান বলেন, ‘বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়ার সঙ্গে এর আগেও আমি কাজ করেছি। এবারের সিনেমাটি গ্রামীণ প্রেক্ষাপটে নির্মিত হতে যাচ্ছে। গল্পটি আমি পড়েছি, খুবই চমৎকার গল্প। আশা করি এই সিনেমার গল্পটি দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে।’
এদিকে সিনেমাটি প্রসঙ্গে এর পরিচালক অলক হাসান বলেন, ‘ভিন্ন রকমের একটি গল্প নিয়ে আমরা হাজির হতে যাচ্ছি। চায়ের দেশ সিলেটের মনোরম পরিবেশে সিনেমাটির দৃশ্যধারণ করা হবে। নির্মানে নতুনত্ব রাখতে চাই। পছন্দের শিল্পীদের পেয়েছি, কাজটি অবশ্যই ভালো হবে। বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া লিমিটেডকে বিশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি, পাশাপাশি আরটিভিকেও ধন্যবাদ জানাই।’
উল্লেখ্য যে, ‘নাকফুল’ সিনেমায় রোশান এবং পূজা ছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন লুৎফর রহমান জর্জ, আলীরাজ, এল আর সীমান্তসহ অনেকেই। বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া সূত্রে জানা গেছে সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী রোজার ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘নাকফুল’। প্রসঙ্গত ‘নাকফুল’ সিনেমার চুক্তিবদ্ধের অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আরটিভির অনুষ্ঠান প্রধান দেওয়ান শামসুর রকিব, ডেপুটি হেড অব নিউজ মামুনুর রহমান খান, আর অ্যান্ড ডি প্রধান প্রদীপ ভট্টাচার্য্য, বিজ্ঞাপন ও বিপণন প্রধান সুদেব চন্দ্র ঘোষ।
আরো পড়ুনঃ
আরো দুইটি সিনেমার কথা জানালেন ‘ঢাকা অ্যাটাক’ নির্মাতা দীপংকর দীপন
এবার ঢালিউডে করোনার থাবাঃ শেষ মুহুর্তে স্থগিত ‘শান’ সিনেমার মুক্তি
ঢালিউডের দর্শক ফেরাতে শাকিব খানের সিনেমা চান প্রেক্ষাগৃহ মালিকরা
