বাংলাদেশের সর্বাধিক প্রেক্ষাগৃহে জিৎ-মিমি চক্রবর্তীর ভারতীয় সিনেমা ‘বাজি’!

বাংলাদেশের সর্বাধিক প্রেক্ষাগৃহে

বাংলাদেশের সর্বাধিক প্রেক্ষাগৃহে

১৫ অক্টোবর (শুক্রবার) মুক্তি পেয়েছে টলিউড সুপারস্টার জিৎ অভিনীত নতুন সিনেমা ‘বাজি’। সিনেমাটিতে জিতের বিপরীতে অভিনয় করেছেন মিমি চক্রবর্তী। কলকাতার পাশাপাশি আমদানি করা সিনেমা হিসেবে একই সাথে বাংলাদেশেও মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। জানা গেছে বাংলাদেশের সর্বাধিক প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে জিৎ-মিমি চক্রবর্তীর ভারতীয় সিনেমা ‘বাজি’! সিনেমাটি বাংলাদেশে আমদানি করেছে তিতাস কথাচিত্র। আর বিনিময়ে কলকাতায় যাচ্ছে বাংলাদেশের সিনেমা ‘রাত্রির যাত্রী’।

তিতাস কথাচিত্রের কর্ণধার আবুল কালাম সূত্রে জানা গেছে ঢাকাসহ সারাদেশে ৪৩টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘বাজি’ সিনেমাটি। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সর্বাধিক প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি নিশ্চিত করলো জিৎ এবং মিমি চক্রবর্তী অভিনীত বহুল প্রতীক্ষিত এই সিনেমা। এদিকে ‘বাজি’ সিনেমার সাথে মাত্র চারটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে দেশীয় সিনেমা ‘চন্দ্রাবতী কথা’। বাংলা সাহিত্যের প্রথম নারী কবি চন্দ্রাবতীকে নিয়ে নির্মিত সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন এন রাশেদ চৌধুরী।  স্টার সিনেপ্লেক্স এর বসুন্ধরা ও ধানমন্ডি শাখা ছাড়াও যমুনা ব্লকবাস্টার ও নারায়ণগঞ্জের সিনেস্কোপে প্রদর্শিত হচ্ছে এই সিনেমা।

অন্যদিকে ঢাকার ব্লকবাস্টার সিনেমাস (যমুনা ফিউচার পার্ক), আনন্দ, চিত্রামহল, শ্যামলী, বিজিবি, গীতে মুক্তি পেয়েছে ‘বাজি’। এছাড়া দেশের অন্যান্য যেসব প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি প্রদর্শিত হচ্ছে তার মধ্যে মনিহার (যশোর), শঙ্খ (খুলনা), নন্দিতা (সিলেট), মধুবন (বগুড়া), সুগন্ধা (চট্টগ্রাম), শাপলা (রংপুর), মর্ডান (দিনাজপুর), তামান্না (সৈয়দপুর), নিউ মেট্রো (নারায়ণগঞ্জ), নবীব (মানিকগঞ্জ), পূরবী (ময়মনসিংহ) উল্লেখযোগ্য।

উল্লেখ্য যে, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়েছিল জিৎ-মিমি জুটির ‘বাজি’ সিনেমার দৃশ্যধারনের কাজ। অংশুমান প্রত্যুষ পরিচালিত সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে জিতের নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জিৎ ফিল্মওয়ার্কসের ব্যানারে। তেলেগু ব্লকবাস্টার ‘নান্নাকু প্রেমাথো’র রিমেক এই সিনেমাটির চিত্রনাট্য লিখেছেন অর্ণব ভৌমিক। আর সিনেমাটির সংগীত পরিচালনা করেছেন জিৎ গাঙ্গুলি।

প্রসঙ্গত, ‘বাজি’ সিনেমাটির আগে সাফটা চুক্তির আওতায় প্রসেনজিৎ, দেব, অঙ্কুশ, সোহম, বনিসহ কলকাতার একাধিক তারকার সিনেমা মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশে। কিন্তু আমদানিকৃত সিনেমাগুলোর কোনটিই এদেশে সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। তবে যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত সিনেমাগুলো ব্যবসায়িক সাফল্যের পাশাপাশি ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছিল। আমদানিকৃত সিনেমাগুলোর ব্যার্থতার ধারা জিৎ-মিমি চক্রবর্তীর ‘বাজি’ ভাঙ্গতে পারে কিনা, তা সময়ই বলে দিবে।

আরো পড়ুনঃ
দুই বাংলায় একসাথে ‘বাজি’: বাংলাদেশে মুক্তির অনুমতি পেল জিৎ-মিমির সিনেমা

By নিউজ ডেস্ক

এ সম্পর্কিত

%d