চলচ্চিত্রের নামঃ অপারেশন সুন্দরবন (২০২২)
মুক্তিঃ সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২
অভিনয়েঃ সিয়াম আহমেদ, নুসরাত ফারিয়া, জিয়াউল রোশন, দর্শনা বনিক, রাইসুল ইসলাম আসাদ, রিয়াজ আহমেদ, শতাব্দী ওয়াদুদ, তাসকিন রহমান, রওনক হাসান, আরমান পারভেজ মুরাদসহ অনেকে।
পরিচালনাঃ দীপঙ্কর সেনগুপ্ত দীপন
প্রযোজনাঃ থ্রি হুইলারস লিমিটেড এবং র্যাব ওয়েলফেয়ার কোঅপারেটিভ সোসাইটি লি.
পরিবেশনাঃ শাপলা মিডিয়া
কাহিনীঃ দীপঙ্কর সেনগুপ্ত দীপন
চিত্রনাট্যঃ দীপঙ্কর সেনগুপ্ত দীপন এবং নাজিম-উদ-দৌলা
সম্পাদনাঃ মোহাম্মদ কালাম এবং প্রত্যয় সাহা
চিত্রগ্রহনঃ রম্যদীপ সাহা
প্রারম্ভিক কথাঃ ‘ঢাকা অ্যাটাক’র মাধ্যমে দেশীয় সিনেমার দর্শকদের নতুনত্বের স্বাদ দিয়েছিলেন অভিষিক্ত নির্মাতা দীপঙ্কর দীপন। বহুল আলোচিত সেই সিনেমার পর নতুন কিছু নিয়ে আসতে বেশ লম্বা সময় নিলেন এই পরিচালক। মাঝে করোনার কারনে দুই বছরের স্থবিরতাও এর একটি কারন। অবশেষে অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে মুক্তি পেয়েছে দীপঙ্কর দীপন পরিচালিত দ্বিতীয় সিনেমা ‘অপারেশন সুন্দরবন’। নির্মাতা হিসেবে প্রথম সিনেমায় দীপন যে মুন্সিয়ানা দেখিয়েছিলেন সেটা কতটুকু ধরে রাখতে পারলেন দীপন? বড় পর্দার সিনেম্যাটিক অভিজ্ঞতার দিক থেকে কেমন ছিলো রহস্যময় বনভূমি সুন্দরবনের গল্প নিয়ে নির্মিত বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা? দীপন এবং তার টিমের পরিশ্রমের কতটা প্রতিফিলন দর্শকরা দেখতে পেলেন রুপালী পর্দায়? আজকের রিভিউতে এই বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা করবো।
কাহিনী সংক্ষেপঃ ‘অপারেশন সুন্দরবন’ সিনেমার গল্প শুরু হয়েছে সুন্দরবনকে ঘীরে সংঘটিত অপরাধ এবং তার সাথে জরিত অপরাধ চক্রের ধারা বর্ননার মাধ্যমে। গল্পে দেখা যায় গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে দিয়ে অপহরণের শিকার হচ্ছেন মাঝিরা। তাদের অপহরণ করে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবী করে সুন্দরবনের জলদস্যুরা। যাদের পরিবার মুক্তিপণ দিতে পারেনা তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করে জলদস্যুরা। সুন্দরবনে জেলে অপহরণের পাশাপাশি পশুদের শরীরের বিভিন্ন অংশ পাচারেরও শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেট কাজ করছে। গহীন এই জঙ্গলের রহস্যময় আবহকে কাজে লাগিয়ে সুন্দরবনকে তারা গড়ে তুলেছে অপরাধের অভয়ারণ্য হিসেবে।
সুন্দরবনে গড়ে উঠা এরকম একটি চক্রের মূল হোতা গজাল ডাকাত। গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গজাল ডাকাতকে ধরতে সুন্দরবনে প্রথম অপারেশনে নেতৃত্ব দেন র্যাবের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রিশান (জিউয়াল রোশান)। কিন্তু তার সেই পরিচালিত অপারেশনে আসলে গ্রেফতার হয় গজাল নয় কাদের। সুন্দরবনের ক্রমবর্ধমান এই অপরাধ প্রতিরোধে একটি বিশেষ স্কোয়াড তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় র্যাব। সেই স্কোয়াডের দলনেতা হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর সায়েম (সিয়াম আহমেদ)। সায়েম এবং রিশানের তত্বাবধানে গঠিত হয় ছয় সদস্য বিশিষ্ট র্যাবের বিশেষ সুন্দরবন স্কোয়াড।
সায়েমের নেতৃত্বে এই বিশেষ বাহিনী অবশেষে সেই গজাল ডাকাতের আস্তানায় হামলা করে র্যাবের এই স্কোয়াড। সেই হামলায় র্যাবের গুলিতে গজাল ডাকাতের মৃত্যু হয়। গজাল ডাকাতের আস্তানা থেকে মোট ১২ জন জিম্মিকে উদ্ধার করে র্যাব, কিন্তু জিম্মির সংখ্যাটা আরো অনেক বেশী হওয়ার কথা। গজাল ডাকাতের দলের বেঁচে যাওয়া সদস্যদের র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বাকী জিম্মিদের গজাল অন্য একটি ডাকাত দলের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। সেখান থেকে বেরিয়ে আসে সুন্দরবনের রহস্যমানব মনা ডাকাতের (শতাব্দী ওয়াদুদ) নাম। মনা ডাকাতকে সুন্দরবনের অঘোষিত রাজা বললেও তাকে কেউ কখনো দেখেনি… তার কোন তথ্য কারো কাছে নেই।
এদিকে লন্ডন থেকে পড়াশোনা শেষ করে একটি এনজিও’র সহায়তায় বাংলাদেশের বাঘ গণনা এবং গবেষণার কাজে বাংলাদেশে আসে তানিয়া কবির (নুসরাত ফারিয়া)। সায়েম এবং রিশান যৌথভাবে মনা ডাকতকে ধরতে সুন্দরবন চষে বেড়ায়। সেখানে সায়েমের সাথে দেখা হয় তানিয়ার। ঘটনাক্রমে তানিয়াও জড়িয়ে যায় এই ভয়ঙ্কর পরিস্থতির সাথে। মনা ডাকতকে ধরতে বেশ কয়কবার অভিযান চালিয়েও ব্যর্থ হয় র্যাবের এই বিশেষ স্কোয়াড। সায়েম যেখানে সুন্দরবনের পানি এবং বাতাসের সাথে মিশে মনার খোঁজ করে, রিশান সেখানে জঙ্গলের বাইরে থেকে মনাকে অস্ত্র এবং অর্থের জোগানের তথ্যের খোঁজ করতে থাকে।
একসময়, র্যাবে হাতে ধরা পরে সুন্দরবনের এই রহস্যমানব মনা ডাকাত। মনা ডাকাতকে গ্রেফাতার সায়েম এবং রিশান বাহিনীকে কিছুটা স্বস্তি দেয়। কিন্তু রহস্যমানব মনা ডাকাতই কি রহস্যময় সুন্দরবনের শেষ রহস্য? নাকি মনা ডাকাতের গ্রেফতার র্যাবের সামনে নিয়ে আসবে নতুন রহস্যের জাল? সায়েম এবং রোশান কি শেষ পর্যন্ত পারবে সেই রহস্যের শেকড়ে পৌঁছাতে? তানিয়া কি শুধুই একজন গবেষক নাকি তার কাছেও রয়েছে এমন কোন তথ্য যা সায়েমকে দিতে পারে প্রত্যাশিত ব্রেকথ্রু? অদিতি কেনো রিশানের সাথে অভিমান করে আছে? অদিতির এই অভিমান কি রিশানকে পথভ্রষ্ট করবে নাকি সব ভূলে অদিতি তার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিবে রিশান তথা র্যাবের প্রতি? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে আপনাকে দেখতে হবে দীপনের ‘অপারেশন সুন্দরবন’।
গল্প এবং চিত্রনাট্যঃ দীপঙ্কর দীপনের কাহিনীতে সিনেমাটির চিত্রনাট্য যৌথভাবে রচনা করেছেন দীপঙ্কর দীপন এবং নাজিম-উদ-দৌলা। ‘অপারেশন সুন্দরবন’ সিনেমাটির গল্পে যেমন নতুনত্ব আছে তেমনি দীপন সুন্দরবনের অনেক খুঁটিনাটি বিষয়কে তুলে এনেছেন দক্ষতার সাথে। এছাড়া গল্পের ধারাবাহিকতায় বেশ কিছু টুইস্ট এবং টার্নের মাধ্যমে দর্শকে চমকে দিয়েছেন বার বার। অপরাধী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী দুই বাহিনীর লড়াইয়ের পাশাপাশি সুন্দরবনকে ঘীরে বেঁচে থাকা মানুষের কথাও উঠে এসেছে সিনেমাটির গল্পে। সুন্দরবন নিয়ে সিনেমা নির্মানে সুন্দরবনকে জানার বিষয়টি দীপনের গল্পে প্রাধান্য পেয়েছে, যা প্রশংসার দাবী রাখে।
গল্পের মত সিনেমাটির চিত্রনাট্যেও মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন দীপঙ্কর দীপন এবং নাজিম-উদ-দৌলা। প্রথম দৃশ্য থেকে গহীন জঙ্গলে র্যাবের বিভিন্ন অভিযানকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে নিজের সেরাটা দিয়েছেন এই যুগল চিত্রনাট্যকার। চিত্রনাট্যের ক্ষেত্রে সিনেমাটির প্রধান আকর্ষন হচ্ছে অপারেশনের জন্য সুন্দরবনের এলাকার দৃশ্যগুলো। এছাড়া সিনেমাটির গল্পের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এগিয়েছে চিত্রনাট্য। আর চিত্রনাট্যের ক্ষেত্রে একটি দিক বেশ লক্ষণীয় ছিলো, তা হলো বিভিন্ন দৃশ্যে শিল্পীদের পাশাপাশি প্রেক্ষাপটকে প্রাধান্য দেয়া। সুন্দরবনের খারাপ আবহাওয়ার সাথে লড়াই করে র্যাবের অভিযান পরিচালনাকে তীক্ষ্ণ চিত্রনাট্যে সুনিপুনভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন দীপঙ্কর দীপন এবং নাজিম-উদ-দৌলা।
পরিচালনাঃ ‘ঢাকা অ্যাটাক’ সিনেমার মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন দীপঙ্কর দীপন। আর দ্বিতীয় সিনেমা ‘অপারেশন সুন্দরবন’ দিয়ে নির্মাতা হিসেবে নিজের পরিপক্কতা প্রমাণ করেছেন দীপন। সুন্দর একটি বিষয়বস্তুকে সিনেমার পর্দায় উপভোগ্য করার ক্ষেত্রে নিজের স্বপ্নের প্রতি দীপন যতেষ্ট দায়িত্বশীলতা দেখিয়েছেন। সিনেমার প্রতিটি চরিত্র এবং গল্পকে একসুতায় বেধে শেষ পর্যন্ত একটি পূর্ন অভিজ্ঞতা উপহার দিতে সক্ষম হয়েছেন আধুনিক সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় এই নির্মাতা। দীপনের নির্দেশনার আরো একটি বিশেষ দিক হচ্ছে ছোট ছোট চরিত্র দিয়ে গল্পের খুঁটিনাটিকে প্রাধান্য দেয়ার মাধ্যমে সিনেমা হিসেবে এর পূর্নতা নিশ্চিত করা। ‘অপারেশন সুন্দরবন’ সিনেমার ক্ষেত্রেও এর ব্যাতিক্রম হয়নি। এক দৃশ্যের ছোট একটি চরিত্র পরের দৃশ্যের চালিকা শক্তি হিসেবে আবির্ভুত হয়েছেন।
অভিনয়ঃ ‘অপারেশন সুন্দরবন’ কোন একক তারকার সিনেমা নয়। সিয়াম আহমেদ এবং জিয়াউল রোশন অনেকটা সমান্তরাল চরিত্রে অভিনয় করেছেন এই সিনেমায়। মেজর সায়েম চরিত্রে সিয়াম আহমেদ যেমন ছিলেন দুর্দান্ত তেমনি লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রিশান চরিত্রে জিয়াউল রোশানও অপ্রতিরোধ্য। দুইজন তারকাই সিনেমাটিতে সমানতালে নিজদের অভিনয়ের সেরা প্রদর্শনী করেছেন। জিয়াউল রোশানের চরিত্রে যেমন অ্যাকশনের পাশাপাশি আবেগেরও একটি বিশেষ জায়গা ছিলো, যেখানে তিনি ছিলেন অসাধারণ। মেজর সায়েম চরিত্রে সিয়াম একজন দলনেতা হিসেবে ছিলেন প্রশংসনীয়। এছাড়া সিনেমাটির অন্য প্রধান চরিত্র ‘র্যাব-৬ এর সিও ইশতিয়াক আহমেদ চরিত্রে রিয়াজও ভালো অভিনয় করেছেন।
‘অপারেশন সুন্দরবন’ সিনেমার অন্যতম ভালো দিন ছিলো প্রধান দুই জুটির মধ্যকার রসায়ন। বিশেষ করে রোশান এবং দর্শনা যতবার একসাথে পর্দায় এসেছেন, তাদের মধ্যকার রসায়ন মনকে ছুঁয়ে গেছে। তানিয়া কবির চরিত্রে নুসরাত ফারিয়া সম্ভবত সময়ের সেরা পছন্দ। এই চরিত্রটি ফারিয়ার ব্যক্তিত্বের সাথে মাননসই ছিলো এবং এর প্রতি তিনি শতভাগ সুবিচার করেছেন। অন্যদিকে ডঃ অদিতি চরিত্রে দর্শনা বনিক অন্যরকম এক অনুভূতি দিয়েছেন দর্শকদের। পর্দা উপস্থিতি থেকে শুরু করে রোশানের সাথে রোমান্স সবকিছুতেই ছাপিয়ে গেছেন দর্শনা। এই সিনেমায় তার চরিত্রে গ্ল্যামারের সাথে অভিনয়ের একটি সুন্দর সংযোগ স্থাপন করেছেন দর্শনা।
সিনেমাটির অন্যান্য প্রধান চরিত্রে আরো অভিনয় করেছেন শতাব্দী ওয়াদুদ এবং তাসকিন আহমেদ। নিজেদের চরিত্রে বরাবরের মতই অসাধারণ অভিনয় করছেন এই দুই অভিনেতা। মনা ডাকাত চরিত্রে শতাব্দী ওয়াদুদ ভয়ঙ্কর মানুষের প্রতিকৃতি হিসেবে পর্দা কাঁপিয়েছেন। এছাড়া তাসকিন আহমেদ তার আগের সিনেমাগুলোর মতই এই সিনেমায় দারুণ অভিনয় করেছেন। এছাড়া অন্যান্য চরিত্রে রাইসুল ইসলাম আসাদ, রওনক হাসান, আরমান পারভেজ মুরাদ এবং অন্যরা নিজেদের জায়গা থেকে ভালো অভিনয় করেছেন।
চিত্রগ্রহণ এবং সম্পাদনাঃ সিনেমাটিতে রম্যদীপ সাহার চিত্রগ্রহণ ছিলো চোখ জুড়ানো। এই সিনেমার প্রায় পুরোটাই দৃশ্যধারন হয়েছে সুন্দরবন এবং তার আশেপাশের এলাকায়। রম্যদীপ সাহা তার কাজটি করেছেন অসাধারণ দক্ষতার সাথে। সুন্দরবনের ছোট ছোট নালাগুলোকে কাজে লাগিয়ে ডাকাতদের সাথে র্যাবের লড়াইয়ের দৃশ্যগুলো রম্যদীপ সাহার ক্যামেরায় সুন্দরভাবে। এরকম অ্যাকশন থ্রিলারধর্মী একটি গল্পকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলার পাশাপাশি গল্পের প্রেক্ষাপটকে পর্দায় উপস্থাপনের মত গুরুত্বপূর্ন কাজটি রম্যদীপ সাহা করতে পেরেছেন বেশ ভালোভাবে। সিনেমাটির সম্পাদনা করেছেন মোহাম্মদ কালাম এবং প্রত্যয় সাহা। সামগ্রিকভাবে সিনেমার গল্প এবং চিত্রনাট্যের তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে আছে সিনেমাটির সম্পাদনা। তবে সেটা অবশ্যই সিনেমার মানকে প্রভাবিত করার মত না।
উপসংহারঃ ‘অপারেশন সুন্দরবন’ ঢালিউডের বাণিজ্যিক সিনেমার ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে এটা বলাই বাহুল্য। একদম দেশীয় প্রেক্ষাপটের গল্প, চিত্রনাট্য, পরিচালনা এবং অভিনয়ের একটি পরিপূর্ন প্যাকেজ ‘অপারেশন সুন্দরবন’। রহস্যময় সুন্দরবনকে পর্দায় দেখতে পাওয়ার এক অনন্য অভিজ্ঞতার নাম ‘অপারেশন সুন্দরবন’। দেশীয় সিনেমায় তারকা সংকটের অপবাদটা যে অপ্রাসঙ্গিক তার প্রমাণ দীপনের এই সিনেমাটি। ঢালিউডের নতুন সময়ের গল্প লিখার জন্য নির্মাতাদের দরকার গল্প নির্ভর সিনেমা। ভালো সিনেমা দেখুন এবং ‘অপারেশন সুন্দরবন’ অবশ্যই দেখুন – কারন এই সিনেমাটি অন্তত আপনাকে হতাশ করবে না। A MUST WATCH AND ONE THE BEST MADE MOVIES EVER MADE IN DHALLYWOOD!
আরো পড়ুনঃ
মিশন এক্সট্রিম রিভিউ
রেহানা মরিয়ম নূর রিভিউ
কসাই রিভিউ