গত কোরবানির ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাগুলো নিয়ে আলোচনা থামার আগেই নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলো মেজবাউর রহমান সুমনের ‘হাওয়া’। মুদ্র, পানি, সম্পর্ক ও প্রতিশোধের গল্পের ‘হাওয়া’ সিনেমাটির পোস্টার ও ট্রেইলারে মুগ্ধতা ছড়াতে দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এছাড়া সিনেমাটির গান ও প্রচারণার কৌশলে নতুন উন্মাদনা দেখা গেছে সর্বত্র। তাই মুক্তির আগেই অগ্রিম টিকেট বিক্রির হিড়িক পড়েছিল। মুক্তির পরও ঢালিউডে ‘হাওয়া’ ঝড় অব্যাহত রয়েছে।
প্রথম সপ্তাহে প্রায় সবগুলো মাল্টিপ্লেক্স ও সিঙ্গেল স্ক্রিনে হাউজফুল প্রদর্শনীর পরও সিনেমাটি নিয়ে দর্শকদেড় চাহিদা তুঙ্গে। অগ্রিম টিকেট চেয়েও পাচ্ছে না সিনেপ্রেমী দর্শক। প্রাথমিকভাবে ঢাকায় সিনেমাটি নয়ে দর্শকদের উম্মাদনা দেখা গেলেও পরবর্তিতে সিনেমাটির নিয়ে ঢাকার বাইরের দর্শকদেরও আগ্রহ দেখে গেছে। দর্শক চাহিদা থাকায় রাজধানীর বাইরের হল মালিকরাও ‘হাওয়া’ নিয়ে বেশ আগ্রহী। তারই প্রেক্ষিতে ‘হাওয়া’ সিনেমাটির দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে।
দ্বিতীয় সপ্তাহে দ্বিগুণ প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে ঢালিউডের সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম আলোচিত সিনেমা ‘হাওয়া’।#ফিল্মীমাইক #বাংলা_সিনেমা #ঢালিউড #হাওয়া #Filmymike #BanglaCinema #Dhallywood #Hawa pic.twitter.com/NcW6Zm4Dxs
— FilmyMike.com (@FilmyMikeBD) August 5, 2022
প্রথম সপ্তাহে মেজবাউর রহমান সুমনের ‘হাওয়া’ সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিলো ২৩টি প্রেক্ষাগৃহে। দর্শক চাহিদার কারনে ৫ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় সপ্তাহে সিনেমাটি দেশের ৪১টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি চূড়ান্ত করেছে। ‘হাওয়া’ সিনেমার অফিশিয়াল পেজ থেকে এমনটাই নিশ্চিত করেছেন নির্মাতারা। এছাড়াও শুধু স্টার সিনেপ্লেক্সের ৫টি শাখায় দিনে ২৬টি প্রদর্শনী রয়েছে। বাংলা ছবির ক্ষেত্রে নিকট অতীতে এমনটা আর দেখা যায়নি।
টিভি ফিকশন ও বিজ্ঞাপনের খ্যাতিমান নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমনের পরিচালনায় নির্মিত হয়েছে সমুদ্র, পানি, সম্পর্ক ও প্রতিশোধের গল্পের সিনেমা ‘হাওয়া’। মাঝসমুদ্রে গন্তব্যহীন একটি মাছ ধরার ট্রলারে আটকে পড়া আট জন মাঝি-মাল্লা এবং এক রহস্যময় বেদেনিকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে হয়েছে সিনেমাটির কাহিনি । ‘হাওয়া’র মাধ্যমে রূপকথানির্ভর সিনেমাকে পর্দায় নতুন আঙ্গিকে দেখতে পাবেন দর্শকেরা।
মেজবাউর রহমান সুমনের কাহিনী এবং সংলাপে সিনেমাটির চিত্রনাট্য রচনা করেছেন যৌথভাবে মেজবাউর রহমান সুমন, সুকর্ণ সাহেদ ধীমান এবং জাহিন ফারুক আমিন। সিনেমাটি প্রসঙ্গে নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন বলেন, ‘এটি সমুদ্র, পানি, সম্পর্ক ও প্রতিশোধের গল্প, যেখানে উপজীব্য সমুদ্র। গভীর সমুদ্র ও সেখানে মাছ ধরার ট্রলারকে কেন্দ্র করে নির্মিত গল্পের চলচ্চিত্র। ৮ জন মাঝিমাল্লার ও একজন বেদেনিকে নিয়েই গল্পটি তৈরি।’
উল্লেখ্য যে, তারকাবহুল এ সিনেমায় অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুশি, শরিফুল রাজ, সুমন আনোয়ার, নাসির উদ্দিন খান, সোহেল মণ্ডল, রিজভী রিজু, মাহমুদ হাসান এবং বাবলু বোস। চিত্রগ্রহণ করেছেন কামরুল হাসান খসরু এবং সম্পাদনায় আছেন সজল অলক। রাশিদ শরীফ শোয়েবের আবহ সংগীতে সিনেমাটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন ইমন চৌধুরী। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড এবং নির্মাণ সংস্থা ফেইসকার্ড প্রোডাকশন।
আরো পড়ুনঃ
নকলের অভিযোগ প্রসঙ্গে যা বললেন ‘হাওয়া’ সিনেমার নির্মাতা সুমন
সিনেপ্লেক্সে রেকর্ড প্রদর্শনী নিয়ে মুক্তি পাচ্ছে আলোচিত সিনেমা ‘হাওয়া’
বক্স অফিসে ‘হাওয়া’ ঝড়ঃ মুক্তির ৩ দিনের সব প্রদর্শনী হাউসফুল!