একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকটা (২০০১ থেকে ২০১০) আমির খানের জন্য ছিলো নিজেকে ভেঙে আবার গড়ার লড়াই। আর এই শতাব্দীর শুরুটা আমির খান করেছিলেন তার সিনেমার অস্কার যাত্রা দিয়ে। ২০০১ সালে আমির খানের মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘লাগান’ বিদেশী ভাষার সেরা সিনেমা হিসেবে অস্কারে মনোনীত হয়। যদিও সিনেমাটি শেষ পর্যন্ত পুরষ্কার জিততে ব্যর্থ হয়েছিলো সিনেমাটি বিশ্ব দরবারে বলিউডকে নতুন করে পরিচিত করেছিলো বলে মনে করা হয়। এছাড়া একই বছরে তার মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দিল চাহতা হ্যাঁ’ সিনেমাটি ব্যবসায়িকভাবে ততটা সফল না হলেও বলিউড সিনেমায় গল্প বলার নতুন এক ধারাকে উম্মচন করেছিলো বলেই মনে করেন অনেকে। অভিনয়ের বৈচিত্রতায় বলিউডে আমির খান আসলে নিজেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী আমির খান। আমির খানের ফিল্মোগ্রাফি নিয়ে এই আলোচনায় থাকছে তার সিনেমার বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত।
‘দিল চাহতা হ্যাঁ’ সিনেমার পর আমির খানের মুক্তিপ্রাপ্ত মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ফানা’, ‘রং দে বাসন্তী’, ‘তারে জমিন পার’ সিনেমাগুলো বক্স অফিসে সফলতার পাশাপাশি সমালোচকদের প্রশংসা কুঁড়াতে সক্ষম হয়। আর এই সিনেমাগুলোর মাধ্যমে চিত্রনাট্য নির্বাচনে আমির খানের মুন্সিয়ানা প্রকাশ পায়, যা বলিউডের মি পারফেকশনিষ্ট হিসেবে তার অবস্থানকে আরো শক্তিশালী করে। অভিনয়ের বৈচিত্রতায় বলিউডে আমির খান এবং তার সিনেমার চিত্রটি আরো পরিষ্কার হয়, এই তারকার সিনেমাগুলোর আইএমডিবি রেটিং দেখলে। আইএমডিবিতে সর্বোচ্চ রেটিং পাওয়া শীর্ষ দশটি ভারতীয় সিনেমা নির্বাচন করলে সেখানে আমির খানের সিনেমা পাওয়া যাবে সবচেয়ে বেশী। বিষয়বস্তু বিবেচনায় আমিরের তুলনা এখনো শুধুই আমির খান।
তবে বলিউডের বক্স অফিসের অপ্রতিদ্বন্দ্বী তারকা হিসেবে আমির খানের যাত্রা শুরু হয়েছিলো ২০০৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘গজিনী’ সিনেমার মাধ্যমে। বলিউডের ইতিহাসের প্রথম সিনেমা হিসেবে ১০০ কোটি রুপি আয়ের রেকর্ড গরে সিনেমাটি। তার এক বছর পর ২০০৯ সালে ‘থ্রী ইডিওটস’ সিনেমার মাধ্যমে নিজেকে ছাড়িয়ে যান এই তারকা। এই সিনেমার মাধ্যমে বলিউড বক্স অফিসে ২০০ কোটি রুপির নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেন আমির খান। নিজের ক্যারিয়ারের আগের বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় ২০১০ সালে কোন সিনেমা মুক্তি পায়নি আমির খানের। অন্যদিকে ২০১০ সালে ‘দাবাং’ সিনেমার বিশাল সাফল্যের মাধ্যমে বলিউড বক্স অফিসে নতুন করে পুনর্জন্ম নেন বলিউডের ভাইজান সালমান খান। একের পর এক সিনেমা দিয়ে আমির খানের বক্স অফিস রেকর্ডকে চ্যালেঞ্জ করতে থাকেন তিনি।
২০১০ সালের বিরতীর পর নতুন দশক আমির খান শুরু করেন ভিন্ন ধারার সিনেমা দিয়ে। স্ত্রী কিরন রাওয়ের পরিচালনায় ‘ধোবি ঘাট’ সিনেমার মাধ্যমে পর্দায় ফেরেন আমির খান। তবে সিনেমাটিতে অনেকটা বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। কোন রকম প্রচারনা ছাড়াই মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাটি বক্স অফিসে অনেকটা উপেক্ষিত থেকে যায়। এরপর ২০১২ সালে মুক্তি পায় আমির খান অভিনীত হরর সাসপেন্স সিনেমা ‘তালাশ’। ২০১২ সালের ক্রিসমাসে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাটি বক্স অফিসে সফলতা অর্জন করতে ব্যার্থ হয়। এক্সেল এন্টারটেইনমেন্টের প্রযোজনায় সিনেমাটিতে আমির সাথে আরো অভিনয় করেছেন কারিনা কাপুর এবং রানী মুখার্জি। শেষ পর্যন্ত সিনেমাটি বক্স অফিসে ৯১ কোটি রুপি আয় করে সেমি হিট তকমা পায়। ‘গজিনী’ এবং ‘থ্রী ইডিওটস’ সিনেমার পর আমির খানের সিনেমার প্রতি সবার প্রত্যাশা অনেক বেশী ছিলো। কিন্তু ‘তালাশ’ সিনেমাটির বিষয়বস্তু বিবেচনায় সিনেমাটির ব্যবসায়িক ব্যর্থতার দায়ভার কতটুকু আমির খানের সেটা বিতর্ক সাপেক্ষ্য অবশ্যই।
তবে নতুন দশকে বক্স অফিসে আমির খানের রাজত্ব আরো একবার প্রমান পায় ২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ধুম থ্রী’ সিনেমার মাধ্যমে। যশরাজ ফিল্মসের প্রযোজনায় ‘ধুম’ সিরিজের এই তৃতীয় পর্বে আমির খানকে দেখা গেছে দ্বৈত চরিত্রে। এর ফ্র্যাঞ্চাইজির আগের দুইটি সিনেমাও বক্স অফিসে ব্লকবাস্টার ব্যবসা করেছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় এবং আমির খানের উপস্থিতিতে ‘ধুম থ্রী’ সিনেমাটি বক্স অফিসে ঝড় তুলে এবং আগের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়ে এই সিনেমা। প্রথম ১০০, ১৫০ এবং ২০০ কোটি রুপির মাইলফলকের পর ‘ধুম থ্রী’ সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবারের মত ২৫০ কোটি রুপির নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেন আমির খান। ২০১৩ সালের ক্রিসমাসের কয়েক মাস আগে ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ সিনেমা দিয়ে বলিউডের সবচেয়ে বেশী আয়ের রেকর্ড করেছিলেন শাহরুখ খান। কিন্তু কয়েকমাসের মধ্যেই ‘ধুম থ্রী’ সিনেমার মাধ্যমে আরো একবার সর্বাধিক আয়ের সিনেমার স্থান পুনর্দখল করেন তিনি। ২৬১ কোটি রুপি আয়ের মাধ্যমে বক্স অফিসে অল টাইম ব্লকবাস্টার সিনেমার তকমা অর্জন করে ‘ধুম থ্রী’।
২০১৪ সালে আবারো আমির খান অভিনয় করেন রাজকুমার হিরানির সিনেমায়। ‘থ্রী ইডিওটস’ সিনেমার ঐতিহাসিক সাফল্যের পর এই নায়ক-পরিচালক জুটি পর্দায় আসেন নতুন সিনেমা ‘পিকে’ নিয়ে। ভিনগ্রহ থেকে পৃথিবীতে আসা এক এলিয়েনের কাহিনী নিয়ে নির্মিত সিনেমাটি মুক্তির পর আবারো ঝড় তোলে বক্স অফিসে। আনুশকা শর্মার সাথে আমির খানের সিনেমাটি বলিউডের প্রথম সিনেমা হিসেবে ৩০০ কোটি রুপির মাইলফলক স্পর্শ করে। ব্যবসায়িক সফলতার পাশাপাশি আমির খানের চিত্রনাট্য নির্বাচন এবং অভিনয় আলোচিত হয় সর্বমহলে। রাজকুমার হিরানির নির্দেশনা এবং আমির খানের জীবন্ত অভিনয় সিনেমাটিকে করেছে অনন্য। একের পর এক ভিন্ন ধারার গল্প এবং চরিত্র দিয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়ে আমির খান নায়কের চেয়ে একজন চরিত্রাভিনেতা হিসেবে নিজের অবস্থান আরো শক্তিশালী করেছেন। বক্স অফিসে ৩৩৮ কোটি রুপি আয়ের মাধ্যমে ‘ধুম ৩’ সিনেমার পর টানা দ্বিতীয় অল টাইম ব্লকবাস্টার সিনেমা উপহার দেন আমির খান।
এরপর ২০১৫ সালে বড় পর্দায় অনুপস্থিত ছিলেন আমির খান। কিন্তু ২০১৬ সালে আবারো স্বরূপে ফিরেন তিনি ক্রিসমাসে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দাঙ্গাল’ সিনেমার মাধ্যমে। ভারতের আলোচিত কুস্তীগির মহাবীর ফোগাট এবং তার দুই মেয়ে গীতা এবং ববিতার কাহিনী নিয়ে নির্মিত এই সিনেমায় নিজেকে আবারো উপস্থাপন করেছেন অনন্য রুপে। মহাবীর ফোগাটের চরিত্রকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে শরীরে পরিবর্তন এনেছেন দুইবার। চার মেয়ের বাবার চরিত্রের পাশাপাশি যুবক বয়সের কুস্তীগির হিসেবে বেশ কয়েকবার শারীরিক পরিবর্তন নিয়ে কাজ করেছেন আমির খান। মুক্তির পর আমির খানের পরিশ্রমের প্রতি পূর্ন সম্মান দেখিয়েছেন দর্শক। আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়ে ‘দাঙ্গাল’ সিনেমাটি বলিউডের ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যবসাসফল সিনেমা হিসেবে আবির্ভূত হয়।
৩৭৫ কোটি রুপি আয়ের মাধ্যমে টানা তৃতীয়বারের মত অল টাইম ব্লকবাস্টার সিনেমা উপহার দেন মি পারফেকশনিষ্ট আমির খান। শুধু তাই নয়, ‘বাহুবলী ২’ সিনেমাকে তেলুগু সিনেমা হিসেবে তালিকা থেকে বাদ দিলে, ২০২৩ সালে জানুয়ারি পর্যন্ত সর্বাধিক আয়ের হিন্দি সিনেমা হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছিলো আমির খানের ‘দাঙ্গাল’। অবশেষে ২০২৩ সালের ২৫শে জানুয়ারি ‘পাঠান’ সিনেমার মাধ্যমে এই রেকর্ড ভেঙ্গে দেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। তবে বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে গ্রোস আয়ের হিসেবে এখনো সর্বোচ্চ আয়ের ভারতীয় সিনেমার রেকর্ড ধরে রেখেছে আমির খানের ‘দাঙ্গাল’। চীনের বাজার সহ বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে সিনেমাটির মোট গ্রোস আয় প্রায় ১,৯০০ কোটি রুপি। এর মধ্যে ১,১০০ কোটি রুপির বেশী আয় হয়েছে শুধু চীন থেকেই।
‘দাঙ্গাল’ সিনেমার বিশাল সাফল্যের পর ২০১৭ সালে মুক্তি পায় আমির খান অভিনীত সিনেমা ‘সিক্রেট সুপারস্টার’। তবে সিনেমাটিতে আমির খান কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিলেন না। এই সিনেমায় আমির খানকে একটি বিশেষ চরিত্রে দেখা গেছে। অভিনয়ের পাশাপাশি সিনেমাটি প্রযোজনাও করেছেন আমির খান। মুক্তির পর সিনেমা বক্স অফিসে ৬৩ কোটি রুপি আয় করে এভারেজ তকমা পায়। সেই ২০০৮ থেকে শুরু করে আমির খানের সিনেমা সাধারণত ক্রিসমাসে মুক্তি পেয়ে আসছিলো। কিন্তু ২০১৮ সালে যশরাজ ফিল্মসের প্রযোজনায় আমির খান অভিনীত ‘থাগ অফ হিন্দুস্তান’ মুক্তি পায় দীপাবলিতে। ‘ধুম থ্রী’ খ্যাত পরিচালক ভিক্টর আচার্য্য পরিচালিত এই সিনেমায় আমির খানের সাথে অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চন, ক্যাটরিনা কাইফ এবং ফাতেমা সানা শেখ।
অমিতাভ বচ্চন এবং আমির খানের প্রথম একসাথে পর্দা উপস্থিতি, যশরাজ ফিল্মসের প্রযোজনা, দীপাবলিতে মুক্তি – সব মিলিয়ে বড় আসরে বড় বাজেটের সিনেমা। স্বভাবত কারণেই সিনেমাটির প্রতি সবার প্রত্যাশা ছিলো আকাশচুম্বী। প্রত্যাশার প্রতিফলন হিসেবে মুক্তির প্রথম দিনে ৪৮ কোটি রুপি আয়ের মাধ্যমে দারুন সম্ভাবনার জন্ম দেয় এই সিনেমা। কিন্তু পরবর্তীতে দর্শকরা সিনেমাটি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে বক্স অফিসে ভরা ডুবির মুখোমুখি হয় আমির খানের বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘থাগ অফ হিন্দুস্তান’। শেষ পর্যন্ত ১৩৮ কোটিতে থামে সিনেমাটির বক্স অফিস যাত্রা এবং অনেক লম্বা সময় পর ফ্লপ সিনেমার স্বাদ ভোগ করেন আমির খান। ভারতের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও সিনেমাটি দর্শকদের গ্রহণযোগ্যতা পেতে ব্যর্থ হয়েছিলো।
এদিকে ২০২০ সালের ক্রিসমাসে মুক্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলো আমির খানের নতুন সিনেমা ‘লাল সিং চাড্ডা’। হলিউডের বিখ্যাত তারকা টম হ্যাংস অভিনীত সিনেমা ‘ফরেস্ট গাম্প’ এর অফিসিয়াল রিমেক হতে যাচ্ছে এই সিনেমা। মুক্তির কথা থাকলেও করোনা মহামারীর কারনে পিছিয়ে যায় সিনেমাটির মুক্তি। বেশ কয়েকবার পিছিয়ে গিয়ে অবশেষে ২০২২ সালের ১১ই আগস্ট মুক্তি পেয়েছিলো ‘লাল সিং চাড্ডা’। সিনেমাটিতে আমির খানের বিপরীতে অভিনয় করছেন কারিনা কাপুর খান। কিন্তু মুক্তির পর এই সিনেমাটিও বক্স অফিসে মুথ থুবড়ে পরেছিলো। শেষ পর্যন্ত ভারতীয় বক্স অফিসে ১০০ কোটি রুপির নীচে আয়ের মাধ্যমে বলিউডের অন্যতম বড় ডিজাস্টারের খাতায় নাম লিখায় সিনেমাটি। তবে পরবর্তীতে ওটিটি প্লাটফর্মে মুক্তির পর দর্শকদের প্রশংসা কুঁড়াতে সক্ষম হয়েছিলো এই সিনেমা।
এক দশকেরও কম সময়ের ব্যবধানে বক্স অফিসে চারটি অল টাইম ব্লকবাস্টার সিনেমা উপহার দিয়েছেন আমির খান। সিনেমাগুলো হচ্ছে ‘থ্রী ইডিওটস’, ‘ধুম থ্রী’, ‘পিকে’ এবং ‘দাঙ্গাল’। এর আগে আমির খানের ‘রাজা হিন্দুস্থানি’ সিনেমাটিও অল টাইম ব্লকবাস্টার হয়েছিলো। সব মিলিয়ে ক্যারিয়ারে মোট পাঁচটি অল টাইম ব্লকবাস্টার সিনেমা উপহার দেয়া একমাত্র ভারতীয় অভিনেতা হচ্ছেন বলিউডের মিঃ পারফেকশনিস্ট। সাম্প্রতিক সময়ে ‘থাগ অফ হিন্দুস্থান’ এবং ‘লাল সিং চাড্ডা’ সিনেমাগুলো ব্যর্থ হলে অভিনয় থেকে সাময়িক বিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই অভিনেতা। হাতে থাকা নিজের প্রযোজনায় ‘চ্যাম্পিয়নস’ নামে একটি সিনেমা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন আমির খান। জানিয়েছেন অভিনয় না করলেও, সিনেমাটির প্রযোজক হিসেবে থাকছেন এই তারকা।
পরপর তিনটি সিনেমা বক্স অফিসে অল টাইম ব্লকবাস্টার, পর্দায় নিজের চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলতে নুন্যতম সমঝোতা না করা – সব মিলিয়ে পুরো দশক জুড়ে আমির খানের লড়াই ছিলো তার নিজের সাথে। মাঝেমধ্যে বক্স অফিস আয়ের দিক থেকে সালমান খানের সাথে তার হয়েছে ইঁদুর দৌড়, তবে সিনেমার মানের দিক থেকে আমির খানই ছিলেন অনন্য, অপ্রতিদ্বন্দ্বী। এছাড়া অভিনয়ের বৈচিত্রতায় বলিউডে নিজেকেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন আমির খান। আর এই সময়ে অভিনয়ের পাশাপাশি তার প্রযোজিত সিনেমাগুলোও প্রশংসা কুড়িয়েছে দর্শক এবং সমালোচকদের। আগামী দিনেও তার মুক্তি প্রতীক্ষীত সিনেমাগুলো একই ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে বলে মনে করছেন সবাই।
আরো পড়ুনঃ
শাহরুখ খানের এক দশক: ‘সুপার হিরো’ থেকে ‘জিরো’
সালমান খানের এক দশক: সুপারষ্টার থেকে বক্স অফিসের দাবাং