একজন সাধারন মেয়ের চেয়ে বেশি কিছু আমি নিজেকে ভাবতে চাইনা: দীপিকা পাডুকোন

দীপিকা পাডুকোন

দীপিকা পাডুকোন – বলিউডের বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় এবং জনপ্রিয় অভিনেত্রী। নিজের অভিনয়ের বৈচিত্র এবং বহুমুখীতা দিয়ে দর্শক এবং সমালোচকদের পছন্দের নাম দীপিকা। তাই বড় বাজেটের সিনেমার জন্য নির্মাতাদের কাছে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অভিনেত্রী তিনি। চলতি বছরে ইতিমধ্যে তার হাতে রয়েছে বড় বাজেটের ৫টি সিনেমা। ইতিমধ্যে চলছে কয়েকটি সিনেমার চিত্রায়ন। নিজের অভিনেত্রী হওয়া থেকে শুরু করে রনবীর সিংয়ের সাথে বিয়ে এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে সম্প্রতি তিনি কথা বলেন টাইম অব ইন্ডিয়ার ফেমিনা ম্যাগাজিনের সাথে। ফিল্মীমাইক পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি বাংলায় অনুবাদ করে প্রকাশ করা হলো।

সুপারষ্টার হওয়া প্রসঙ্গে…

সত্য কথা বলতে কি, আমি নিজেকে সুপারষ্টার মনে করিনা; আমি এরকম কিছু অনুভব করিনা। অন্য যে কারো চেয়ে আমি আলাদা কিছু অনুভব করিনা। আমি মনে করি, আমি সেই সৌবাগ্যবান মেয়ে যে তার যা করতে ভালো লাগে, যা করতে চায় সেটা করার জন্য পরিবারের কাছ থেকে ভালোবাসা এবং সমর্থন পেয়েছে। আমি সুযোগ পেয়েছি, পরিশ্রম করেছি, ত্যাগ করেছি এবং আমি আজকে যা সেটা হতে পেরেছি। তাই একজন সাধারন মেয়ের চেয়ে বেশি কিছু আমি নিজেকে ভাবতে চাইনা বা ভাবতে পারিনা। একমাত্র যে পার্থক্য আমি দেখি সেটা হচ্ছে তখন আমি ১৬ বছরের ছিলাম আর এখন ৩৫ বছরের। কিন্তু এখনও আমি আমার পিতামাতাকে গর্বিত করার ইচ্ছে নিয়ে, ব্যক্তিগত এবং পেশাদার লক্ষ্য অর্জনের লক্ষ্যে ঘুম থেকে উঠি।

অভিনেতা হতে চান বুঝতে পারা প্রসঙ্গে…

১৬ বছর বয়স পর্যন্ত স্কুলে আমি পেশাদার ব্যাডমিন্টন খেলতাম এবং রাজ্যকে প্রতিনিধিত্ব করতাম। এরপর উচ্চতর স্কুলে পড়ালেখা শুরু পর সবাই যেমন বুঝতে পারে তারা কি করতে চায়, আমিও বুঝতে পারি খেলাধুলা এমন কিছুনা যেটা আমি আমার জীবনে করতে চাই। একই সময়ে আমি পড়ালেখার পাশাপাশি স্কুলে আমি অন্যান্য কিছু যেমন মডেলিং, নাচ এবং গান করতাম। তারপর বোর্ড পরীক্ষার জন্য আমি যখন ব্যাডমিন্টন থেকে বিরতী নেই সে সময়টা আমার জন্য পরিবর্তনের সময় ছিল। আমার মনে হয়না এই পরিবর্তন আমার পিতা-মাতাকে অবাক করেছে কারন ছোটবেলা থেকেই তারা আমার পছন্দকে প্রাধান্য দিয়েছেন এবং আমাকে সমর্থন করেছেন।

এই সহজাত পরিবর্তন প্রসঙ্গে…

এটা কিছুটা অবাক করার মত যে, আমি শুরু থেকেই মডেল হতে চেয়েছি এবং একজন তরুণী হিসেবে সেটার পরিষ্কার ধারনা ছিল আমার। আমি সবসময়ই জানতাম মডেলিং সেই জিনিস যা আমি হতে চাই। আমি যখনই প্রেক্ষাগৃহে কোন সিনেমা দেখতাম, কোন তারকাকে পর্দায় দেখতাম আমার মনে হত এটা আমি এবং আমি একদিন এরকম হতে পারি। আমার অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম কিন্তু বাস্তবে আমি একজন মডেল ছিলাম। কিভাবে আমি আমার স্বপ্ন পূরণ করব বা আসলেই আমি এর যোগ্য কিনা তা না জেনেই সবকিছু আমার কাছে খুব পরিচিত মনে হত। আসলে আমি মডেলিং শুরুর পর একটি বড় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রস্তাব পাই। সেই সময়ে আমি প্রস্তুত ছিলাম না তাই কয়েকটি প্রস্তাব আমি ফিরিয়ে দেই। কিন্তু এরমধ্যে ১৯ বছর বয়সে ‘ওম শান্তি ওম’ শুরু হয়। ফারাহ খান আমাকে সিনেমাটির জন্য প্রস্তাব দেন; বাকিটা ইতিহাস।

নতুন বছর, বড় পরিকল্পনা…৫টি বড় সিনেমার মধ্যে কোনটা বেশী আবেদনময়ী?

এটা অনেকটা এরকম যে, আপনার ৫টি সন্তান আছে আর আপনাকে একজন বেছে নিতে বলে হচ্ছে! আমি যখন কোন সিনেমার জন্য হ্যাঁ বলি আমি জানি যে এই চরিত্রে আমার বিশেষ কিছু দেয়ার আছে। এটা এমন না যে আমি পরিকল্পনা করেছি। আমার মনে আছে – মানুষ আমাকে বলে ‘ওহ এই বছর তুমি কি চার থেকে পাঁচটি সিনেমা মুক্তির পরিকল্পনা করছ?’ আসলে না, আপনার কাছে যখন কোন সিনেমার প্রস্তাব আসে তুমি জানো না এটা কিভাবে করবে! এই জিনিসগুলো আপনার নিয়ন্ত্রনের বাইরে, এরকমও বছর গেছে যখন আমার এক থেকে দুইটা সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। এই বছর আমি পাঁচটি সিনেমা করতে যাচ্ছি। আমার মনে হয় মহামারীর কারনে সবাই নতুন কাহিনী লিখেছেন এবং গল্পগুলো আমার কাছে আস্তে থাকে। আগস্ট/সেপ্টম্বর থেকেই আমি বুঝে যাই আগামী কয়েক মাস আমার সিনেমার সংখ্যা কিরকম হতে যাচ্ছে।

খুব শীগ্রই আমি শকুন বাত্রা’র সম্পর্ক নিয়ে গল্পের সিনেমার কাজ শুরু করছি। এরকম সিনেমা ভারতে এটাই প্রথম হতে যাচ্ছে। এরপর আছে শাহরুখ খানের বিপরীতে একশন সিনেমা ‘পাঠান’, তারপর নাগ অশ্বিন পরিচালিত প্রবাসের বিপরীতে সিনেমা। এরপর আছে এনি হ্যাথওয়ে অভিনীত ‘দ্যা ইন্টার্ন’ এর রিমেক। আর তারপর আছে মহাভারত যেখানে আমি দ্রোপদীর চরিত্রে অভিনয় করছি।

অভিনয়ে বৈচিত্রতা প্রসঙ্গে…

এটি টাইপকাস্ট হওয়ার আশঙ্কার কারণেই এবং সঠিক স্ক্রিপ্টগুলি বেছে নেওয়ার জন্য আমি নিজেকে কৃতিত্ব দিই। আমি এমন লেখক এবং পরিচালককেও কৃতিত্ব দিচ্ছি যারা আমাকে এইরকম বৈচিত্র্যময় উপায়ে দেখতে পারে। তা সেটা ইমতিয়াজ (আলী) কিংবা হোমি (আদাজানিয়া) হোক যিনি আমাকে ‘প্রেম আজ কাল’ এবং ‘ককটেল’র ভূমিকায় দেখতে পাচ্ছেন, বা শূজিৎ (সিরিকার) মতো কেউ আমাকে পিকুতে দেখতে পাবে এবং ভানসালি যিনি আমাকে ‘পদ্মাবত’ দেখতে পাচ্ছেন, এছাড়া রয়েছেন রোহিত শেঠি যিনি আমাকে একদম কমেডি ছবিতে কাস্ট করেছেন। আমাকে এই জাতীয় বৈচিত্র্যময় উপায়ে দেখার এবং সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি আমার লেখক এবং পরিচালককে কৃতিত্ব দিই। এটি সত্যিই একজন অভিনেতার স্বপ্ন এবং আমি এর চেয়ে বেশী কিছু প্রত্যাশা করতে পারিনা।

বেঙ্গালুরুতে বেড়ে উঠা থেকে ‘গার্ল নেক্সট ডোর’ হওয়া প্রসঙ্গে…

বেঙ্গালুরুতে বেড়ে উঠা দিনগুলো ছিল সুন্দর দিন। আমি সেই সময়ের সরলতাকে খুব মিস করি। আমার বেড়ে উঠার মধ্যে একধরনের শেকড়ের অনুভূতি ছিল। সেখানে জীবনটা খুব সাধারন ছিল। মানুষ যেরকম সেরকমই দেখাতো, আপনি যা দেখছেন তাই পেতেন। মানুষ তার নিজের মত করে বাঁচতো এবং তাতেই তারা সন্তুষ্ট এবং খুশি ছিল। আমি মনে করি যে আমার লালন-পালনের জন্য আমি আমার পিত-মাতার কাছে ঋণী, কারণ আমি সবসময় আমার পিতামাতাকে গর্বিত করতে এবং জীবনে দায়িত্ব নিতে শিখতে চেয়েছিলাম। সুতরাং, আমার সাধারণ দিনটি অন্য সবার মতোই ছিল, যেখানে আমি জেগে থাকি, কখনও কখনও ট্যাপে কোনও পানি থাকে না, বা কর্মীদের মধ্যে কিছু সমস্যা হয়। এটি অন্য যে কোনও বাড়ি বা পরিস্থিতির মতো, আমি নিজেই এটি পরিচালনা করি। এইভাবেই আমার প্রতিপালন হয়েছে। আমি জানিনা যে আমি এটি  ইচ্ছাকৃতভাবে করি না এটি আমার জন্য স্বভাবত, তবে প্যাকিং, আনপ্যাকিং, গৃহস্থালি জিনিসপত্রের অর্ডার দেওয়া, বাড়ি এবং অফিস পরিচালনার মতো বিষয়গুলি সহ সব কাজ  আমি নিজেই।

রণবীর (সিং) আমাকে প্রায় সময়ই বলে থাকে, যে তুমি নিজে কেন এসবের মধ্যে যুক্ত হচ্ছ, তবে আমি এছাড়া কোনও উপায় জানি না। আমি আমার বাড়ির সাথে, আমার কর্মীদের সাথে এবং অন্য যে কোনও সমস্যার সাথে অবশ্যই প্রতিদিনের ভিত্তিতে মোকাবিলা করতে চাই। আমি যখন বোম্বাইতে প্রথম এসেছি, তখন আমার মাথার উপরে কোনও ছাদ ছিল না এবং এটি কিনতে আমি যথেষ্ট পরিশ্রম করেছি। আমি যে ত্যাগ স্বীকার করেছি এবং আমি আজ যেখানে আছি তার জন্য আমি যে কঠোর পরিশ্রম করেছি তা আমি জানি। সে তুলনায় বাসা পরিচালনা করা কোনও কাজ নয়। এটি এমন কাজ যা আমি আনন্দের সাথে করি। উদাহরণ স্বরূপ, যখন আমি কোনও পার্টি পরিকল্পনাকারী পাই না, তখন আমি নিজে মেনু সেট করি, ঘরে রান্না করা খাবার পরিবেশন করি। এটি আমি মাকে করতে দেখেছি এবং এটাই আমাদের সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দীপিকা পাডুকোন

শুরুর দিকের পরামর্শদাতারা…

আমার বাবা-মা ছাড়া আমি পেশাদারভাবে অনিলা আনন্দের (প্রযোজক) কথা বলব। মডেলিং বিশ্বে আমাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া এবং আমার সঠিক প্রচার নিশ্চিত করার জন্য সত্যই তিনি শ্রদ্ধার পাত্র। ফটোগ্রাফার অতুল কাসবেকর আরেক ব্যক্তি যিনি আমাকে সত্যই তাঁর ছত্রছায়ায় নিয়ে গিয়েছিলেন এবং পুরো সময়ে আমার হাত ধরেছিলেন। আমি যখন যাত্রা শুরু করলাম, আমার বাবা-মা সব কিছু করছিলেন এবং এজেন্সির ধারণাটি আমাদের কাছে একেবারেই নতুন। প্রথম আলোচনার পরে, অতুল আমাকে চুক্তিবদ্ধ করলেন। আমার বাবা-মা রোমাঞ্চিত হয়েছিলেন কারণ আমরা কখনই চুক্তিগুলি পড়তে পারি না, বা কীভাবে আলোচনা করব তা জানতাম না, তাই আমরা সমস্ত সহায়তাকে স্বাগত জানাই। এবং তারপরে অবশ্যই এটির কিছুটি আমার নিজের শেখা। দৌড়ের মাঝে মাটিতে পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছি এবং চলতে শিখেছি, ক্যামেরার সামনে যা করা উচিত তা থেকে শুরু করে পর্দার আড়ালে চলে যাওয়া সবকিছু – আলোচনা, অর্থ, চুক্তি।

শাহরুখ এবং ফারাহ, যখন থেকে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে আমি তাদের নায়িকা তারা সবসময় আমার দেখাশোনা করেছেন। সেই আবেগ কখনই বদলাবে না। ‘ওম শান্তি ওম’ মুক্তির ১৩ বছর কেটে গেছে এবং শাহরুখ এখনও আমার ভুল সংশোধন করেন। ফারাহ আমার দ্বিতীয় মায়ের মতো। তারা দু’জন আমাকে কীভাবে মিডিয়ার সামনে পরিচালনা করতে পেরেছিলেন এবং আমাকে চলচ্চিত্রের পাশাপাশি বিপণন ও প্রচারের সময়ও বেশ ভালভাবে উপস্থাপন করেছিলেন। শ্রোতারা নির্দিষ্ট জুটি পছন্দ করে নেয়, তবে আমার জন্য সেটা শাহরুখ, রণবীর (সিং), বা রনবীর (কাপুর) এর সাথেই হোক, এই জুটিগুলি আইকনিক হয়ে উঠেছে। যদি নির্দিষ্ট সিনেমা এবং চরিত্র নির্দিষ্ট উপায়ে লেখা হয় তবে শেষ পর্যন্ত দুটি শক্তি একসাথে আসে।

বিয়ে এবং রনবীর প্রসঙ্গে…

সবাই রনবীরের এনার্জি নিয়ে কথা বলে কিন্তু বেশীরভাগ মানুষ এটা বুঝতে চায় না যে সে সবসময় এরকম না। তার যে জিনিসটা আমাকে সবচেয়ে বেশী আকৃষ্ঠ করে তা হল ৮ বছর ধরে আমরা একসাথে আছি এবং এখনও আমরা দুজন দুজনের মাঝে নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার করছি। আমি মনে করি আমাদের সম্পর্কের সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য এটা। আমাদের শুরুটা প্রেমের ছিল, বন্ধুত্বের ছিল। এমনকি আজ আমি বলতে পারবো না যে আমি তার সম্পর্কে সব জানি এবং আমি এটা বলতে পারিনা যে সে আমাকে সম্পর্কে সব জানে।

একজন অভিনেতা হিসেবে রনবীর…

একজন অভিনেতা হিসেবে, সম্ভবত লম্বা সময় পরে পাওয়া সেরা অভিনেতা সে। অভিনেতা হিসেবে তার বৈচিত্র অতুলনীয়, আমার মনে বর্তমান প্রজন্মে তার মত বৈচিত্রময় অভিনেতা আর কেউ আছে। বেশীরভাগ সময় একটি চরিত্রে আপনি একজন অভিনেতাকে দেখতে পান কিন্তু রনবীর যখন কোন চরিত্রে অভিনয় করে তখন যে পরিবর্তন আসে, সেটা লম্বা সময় ধরে আমি দেখিনি। পেশাগতভাবে, সে  যা অর্জন করেছে তা প্রত্যেকের কাছে দৃশ্যমান… তবে, ব্যক্তিগত ভাবে তার রসবোধ, তাঁর অর্জন, তার বহুমুখিতা স্পষ্ট।

পেশাগতভাবে, একজন আরেকজনের কাছ থেকে পরামর্শ নেয়া প্রসঙ্গে…

আমরা বিষয়গুলি নিয়ে কথা বলি,সে বিভিন্ন জনের সাথে তার আলোচনা, যে চলচ্চিত্রগুলির প্রস্তাব পেয়েছে সে বিষয়ে কথা বলে। আমি যে প্রস্তাব পেয়েছি এবং আমি বিবেচনা করছি সেগুলি সম্পর্কে কথাবলি, তবে আমরা একে অপরের পেশাদার সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করি না। অবশ্যই, যদি সে কোন কঠিন দিন পার করে বা আমার একটি কঠিন দিন যায় বা যদি কিছু ভালোভাবে না হয়, তবে আমরা অবশ্যই একে অপরের সাথে ভাগ করি, কথা বলি এবং একে অপরকে নির্দেশনা দেই। তবে, দিনের শেষে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটি নিজের নিজের।

হতাশার সাথে লড়াই প্রসঙ্গে…

আমি যে অনুভূতি এবং সংবেদনশীলতা নিয়ে কাজ করছি সে সম্পর্কে আমি সৎ থাকতে চেয়েছি এবং এটি সবার সাথে ভাগ করে নেওয়া আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। আমি এটি নিজেই মোকাবিলা করছিলাম এবং এর চারপাশের কলঙ্কের বিষয়টি উপলব্ধি করেছিলাম। আমার মনে আছে একদিন জেগে পর আমি ভেবেছি, আমরা কেন এটি এভাবে মোকাবেলা করছি, কেন আমাকে নিশ্চিত করা উচিত যে মিডিয়া আমাকে কোনও থেরাপিস্টের ক্লিনিকে দেখে ফেলবে না, কেন আমার প্রেসক্রিপশনে আমার নাম রাখা উচিত হবে না? আমাদের এথেকে বের হয়ে আসতে হবে এবং চিকিত্সা নিতে হবে। তাই আমার আবেগের সাথে সৎ হওয়া ছাড়াও এটি অন্যতম কারণ। যদি আমাকে পরামর্শ দিতে হয়, আমি বলব আপনি যদি জানেন যে আপনি মানসিক অসুস্থতার সাথে লড়াই করছেন, সহায়তা নিন। আমাদের শারীরিক অসুস্থতা যেমন রয়েছে, তেমন মানসিক অসুস্থতাও থাকতে পারে।

দীপিকা পাডুকোন

আপনার স্বপ্নের চরিত্র?

একটি সুন্দর ভালোবাসার গল্প।

হলিউডের এমন একজন অভিনেতা বা পরিচালক যার সাথে আপনি কাজ করতে চান?

আন্তর্জাতিকভাবে ডমিন চেজিলি। তিনি লা লা ল্যান্ড তৈরী করছেন।

এমন কোন ইচ্ছা যা আপনি অনুসরণ করতে চান যা আপনি সময়ের অভাবে পারছেন না?

পিয়ানো বাজানো শিখা।

আপনার প্রিয় খাবার?

ঘরে বানানো সাউথ ইন্ডিয়ান খাবার।

আপনি যদি অভিনেতা না হতেন, তাহলে কি করতেন?

কোনও ইন্টিরিওর ডিজাইনার বা গৃহিণী — আমি গৃহকর্মী হওয়া পছন্দ করি।

আপনার ইচ্ছে তালিকার সবার উপরে কি আছে?

আমি ট্রেকিংয়ে যেতে চাই, ভারতের কোথাও। আমার মনে আছে, কয়েক বছর আগে, আমরা একটি বুকিং দিয়েছিলাম, তবে সেখানে ভূমিধস হওয়ায় এটি বাতিল হয়ে যায়।

আরো পড়ুনঃ
বানসালি এবং দীপিকা পাডুকোনের মধ্যে ঠান্ডা যুদ্ধ! (জেনে নিন বিস্তারিত)
‘দ্যা ইন্টার্ন’ সিনেমার হিন্দি রিমেকে দীপিকার সাথে যুক্ত হলেন অমিতাভ বচ্চন

By নিউজ ডেস্ক

এ সম্পর্কিত

%d